পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 সমাজ-সংস্করণ। যাহার গণিতে অধিক যত্ন আছে তাহাকে সেই গণিতেই নিয়োগ করা কর্তব্য, এরূপ করিলে সন্তানগণ বিলক্ষণ পটুতা লাভ করিতে পারে ও তন্নিবন্ধন উত্তরোত্তর বিদ্যানুশীলনের উন্নতি হইতে থাকে। পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে বিভিন্ন ভাষা প্রচলিত আছে। প্রত্যেক প্রদেশীয় লোকের অগ্রে স্বদেশীয় ভাষা শিক্ষা করা অবশ্য কৰ্ত্তব্য। অস্মদেশীয় কতক গুলি লোকের এরূপ সংস্কার অাছে যে তাছারা কেবল অর্থের নিমিত্ত বিদ্যানুশীলনের আবশ্যকতা বিবেচনা করেন। তজ্জন্য তাহার অর্থস্প হা-বৃত্তি-তৃপ্তির কারণ স্বল্প বয়স্ক শিশুদিগকে মাতৃ-ভাষা বিশেষ রূপে শিক্ষা না দিয়া অর্থকরী রাজ ভাষা অধ্যয়নে নিযুক্ত করেন । কিন্তু পরিণামে র্তাহারা ঐ অবিহুষ্যকারিত দোষের প্রতিফল ভোগ করিয়া থাকেন। কুমারগণের চিত্ত অতি সুকুমার ও উর্বর ভূমি সদৃশ, তাহাতে যেরূপ বীজ বপিত হইবে তাছা সত্বর বৃদ্ধি পাইয় বদ্ধমুল হইতে থাকিবে । ঐ কারণে যদ্রুপ বিজাতীয় ভাষা পরিবৰ্দ্ধিত হইতেছে তদ্রুপ জাতি ভাষার উন্নতি হইতেছে না । উপরোক্ত ব্যক্তিগণ যদ্যপি প্রথমে বালকfদগকে জাতিভাষা অধ্যয়নে নিযুক্ত করেন, তবে কি আর তাহারা অন্য জাতির অনুকরণে অনুরক্ত হয়? ধনী সন্তানদিগের যদি এরূপ অবগতি থাকে, যে বিদ্যা দ্বারা কলুষিত চরিত্র পবিত্ৰীক্লত হয় ও তদ্বারা হিতাহিত বিবেক শক্তির আবির্ভাব হইয়া থাকে, তবে কি আর তাহার। আলস্য দেবীর