পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সংস্করণ ! > যাইতেছে, অনেক অজ্ঞলোক, যাহার উপার্জনে মিতান্ত অক্ষম তাহারাই এক এক খান মুদিখানার দোকান ও এক একটা পাঠশালা খুলিয়া বসিয়া আছেন । ঐ সকল পাঠশালার ছাত্রের কিছু কিছু গণিত শিক্ষা করিয়া থাকে, কিন্তু গণিত পেক্ষ সরল সাহিত্য অলপ বয়স্ক শিশুগণের পক্ষে বিশেষ উপকারী সন্দেহ নাই । অতএব যথায় গবর্ণমেণ্ট সংক্রান্ত বিদ্যালয় নাই তধাকার অধিবাসীদিগের, যাহাতে মাতৃ ভাষা উন্নত পদবীতে পদাপর্ণ করেন, সে বিষয়ে সচেষ্ট হওয়া নিতান্ত তা বশ্যক। পূৰ্ব্বোত্ত শিক্ষকগণের হস্তে সন্তান অৰ্পণ করা অত্যন্ত মূঢ়ের কৰ্ম্ম । বিদ্যা শিক্ষণ করা সাধারণের নিতান্ত অবশ্যক হইলেও তদ্বিযয়ে কালাকাল বিচার করা কর্তব্য । নিতান্ত শিশুদিগকে বিদ্যানুশীলনে প্রবর্তিত করা কোন ক্রমেই যুক্তিসিদ্ধ নহে । যেরূপ অপরূ বাশে ঘূর্ণ ধরিলে সেই বাশ অকৰ্ম্মণ্য হইয় যায়, সেইরূপ তাপ বয়স্ক বালকগণের কোমল মনে চিন্তাযুণ ধরিলে তাহাদিগের শরীর চিরদিনের জন্য অপটু হইয় পড়ে। অত্যন্ত মানসিক পরিশ্রম ব্যতীত বিদ্য লাভ করা যায় না । মানসিক চিন্তার ক্ষুধামন্দ্য হয়। বিদ্যার্থীগণের পেশী ও গ্রন্থি সকল শিথিল হইয় পড়ে, যেহেতু তাহার এককালে । কায়িক পরিশ্রমে বিসর্জন দিয়া বসেন। তঁহার কেবল । মানসিক পরিশ্রম করেন বলিয়া সর্বদাই অজীর্ণ উদরাময় বাত প্রভৃতি রোগ ভোগ করিয়া থাকেন। বিদ্যার্থীদিগকে জিজ্ঞাস্য এই, যে বিদ্যাভ্যাসের ফল কি জীবন 2