পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সংস্করণ। ‰ ነ শারীরিক পরিশ্রমের গুণ এই যে, তদ্বারা ক্ষুধা বৃদ্ধি হয়, ক্ষুধা বৃদ্ধি দ্বারা আহার বৃদ্ধি হইয়া থাকে, আহার বৃদ্ধি দ্বারা পুষ্টাঙ্গ ও বলিষ্ঠ হইয়া থাকে । এবং সৰ্ব্বক্ষণিক অঙ্গচালনাদ্ধার পেশী সমুদায় দৃঢ় হইয়া শ্রমক্ষম ও কষ্টসহিষ্ণু হইয়া উঠে। এ স্থলে এমন প্রশু উপস্থিত হইতে পারে যে, ইদানীং লেখা পড়ার যেরূপ উন্নতি হইতেছে তাহাতে তাধিক বয়সে বিদ্যাভ্যাস আরম্ভ করিয়া সকল শাখায় কিরূপে পারদর্শিতা লাভ করা যায়। এ প্রশকে ভ্ৰমাত্মক বলিতে হইবে, কারণ নিতান্ত অপ বয়সে বিদ্যাভ্যাস আরম্ভ করিয়া অপকাল জীবিত থকা, তার কিঞ্চিৎ অধিক বয়সে আরম্ভ করিয়া অধিক কাল জীবন ধারণ করা, শিক্ষা বিষয়ে উভয়েরই একরূপ ফল। যুবাগণ বিদ্যাভ্যাসনন্তর যখন বিষয় কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হন, তখন আর তাহাদিগের মানসিক পরিশ্রম করিবার ক্ষমতা থাকে না, সুতরাং তৎকালে বিদ্যানুশীলন বিষয়ে এক প্রকার বিরত থাকেন। কিন্তু একেবারে ক্ষান্ত ন৷ হইয়। আজীবন কিছু কিছু অনুশীলনের উপায় করা কি সৎপরামর্শের কার্য্য নয় ? তরুণাবস্থায় বৃথা কৰ্ম্মে যে সময় ব্যয়িত হয়, সেইকালে বিদ্যাবিষয়ের এক একটা করিয়া বিষয় জানিতে পারিলে ভাবীকালে বিদ্বান বলিয়। প্রতিষ্ঠা লাভ করা যাইতে পারে । ( বিদ্যালয় কেবল । পরীক্ষার স্থান অর্থাৎ বাটতে কিরূপ চচ্চর্ণ করা হয় পাঠালয়ে তাহার পরিচয় দিতে যাওয়া মাত্র। যখন বোধাধিক্য জন্মে তখন স্ব স্ব আলয়ে অনুশীলন ব্যতীত বিদ্যায় সম্যক্‌ ব্যুৎপত্তি জন্মে না)। অতএব বিদ্যার্থী