পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈধ-ভোজন। حساسي هوني عمؤسسه আহারই জীবগণের প্রধান জীবনোপায়। আছার ব্যতীত কোন মতে জীবনরক্ষা হয় না, যেমন উদ্ভিজ সমুদায় স্থত্তিকার রস আকর্ষণ পূর্বক জীবন রক্ষা করে, চেতন পদার্থেরও সেইরূপ ভুক্ত বস্তুর রস দ্বারা দেহ রক্ষিত হইয়া থাকে। যাহা আহার করিলে ক্ষুধ নিবৃত্তি ও তৃপ্তিবোধ হয়, তাহাকে পরিমিত আহার কহে। এই পরিমিত আহারের দ্বারা শরীর সবল ও পুষ্টি বিষয়ে অনুকূল্য হয়। যেমন তৈল দ্বারা দীপ শিক্ষা প্রজ্বলিত হইয়া থাকে, কিন্তু একবারে নিয়মাতিরিক্ত তৈল উহাতে প্রদত্ত হইলে শীঘ্ৰ নিৰ্ব্বাণ হইয় যায়, তাহার ন্যায় পরিমিত আহারের অতিশয্যে পাকস্থলী অজীর্ণ দোষে দুষিত হয় ও তদ্বারা নান রোগ জন্মিয় দেহ ভঙ্গ করিয়া থাকে। যদিও এই আহার দেহের এক মাত্র আধার, কিন্তু তাছার সামগ্রীর গুণাগুণ বিচার করিয়। উছা সেবন করা বিধেয়। যে সকল দ্রব্য অত্যন্ত গুরুপক তাহ অলপ পরিমাণে আহার করা উচিত, যে সমুদয় বস্তু দুৰ্গন্ধ পরি-পূরিত অথবা যে পদার্থে গুণের ভাগ স্বীপ ও দোষের ভাগ অধিক সেই সকল বস্তু ব্যবহার করা উচিত নহে, যেহেতু ঐ সমস্ত বস্তু ভক্ষণ করিলে দেহের অপকার ব্যতীত উপকার হয় না। পরিমিত আহারের নূ্যনতায় ধাতু রূক্ষম, বীৰ্য্যহীন ও দেহক্ষীণ হইয়া ত্বরায় শরীর পতনের সম্ভাবন হইয় উঠে।