বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমিষ ভক্ষণ । سامانههای این موسسه যাবতীয় জন্তুর মধ্যে মনুষ্যই সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রধান। ইতর প্রাণীগণ র্যাছা হইতে স্বস্ট হুইয়াছে, যাহার রূপায় প্রতিপালিত হইতেছে, যাহার অনুগ্রহে তাহার আত্মরক্ষায় সমর্থ হইতেছে, ও যিনি নিরবচ্ছিন্ন আজন্ম মৃত্যু পৰ্য্যন্ত তাহাদিগের উপর কল্যাণ-বাfর বর্ষণ করিতেছেন, র্তাহার অস্তিত্ব জ্ঞানে তাহারা বঞ্চিত, কেবল আহার নিদ্র ভয় মৈথুন ইত্যাদিরই পরতন্ত্র। কিন্তু মানবগণ বিশ্বরচয়িতা প্রদত্ত হিতাহিত বিবেক শক্তি লাভ করিয়া ধরণী মণ্ডলে শ্রেষ্ঠ পদবীতে পদার্পণ করিয়াছেন । সিংহ ব্যাঘ্ৰাদি হিংস্ৰ শ্বাপদের অজ্ঞানান্ধত নিবন্ধন মেয ছাগদি পশুদিগকে নক্রাদি যাদসগণ মৎস্যদিগকে ও পক্ষ্যাদি জন্তু সমুদায় কীট পতঙ্গদিগকে সংস্থার পূর্বক উদর পূৰ্ত্তি করে। মনুষ্যগণ ও যদি সেইরূপ জীবহিংস করিয়৷ উদর পূৰ্ত্তি করে, তবে তাহাদিগের তার ইতর প্রাণী হইতে কি প্রভেদ রহিল, যে ব্যক্তি অহিংস পরমোধৰ্ম্ম জানিয়া ক্লষিকৰ্ম্মোৎপন্ন বিবিধ শস্য ও ফল মূলাদি ভক্ষণ করিয়া দেহ-রক্ষা করেন তিনিই প্রকৃত মনুষ্য শব্দে বাচ্য। মৎস্য মাংস ভোজনে অপকার ব্যতীত উপকার নাই । অন্মদাদির পূর্ব পুরুষগণ নিরামিষ ভোজন করিতেন, এজন্য র্তাহারা দ্রঢিষ্ঠ বলিষ্ঠ ও সুস্থকায় ছিলেন।