পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সংস্করণ । ‘Ay একটার অপরিমিত ব্যবহার করিলে সাংসারিক কাৰ্য্য সুচারু রূপে সমাহিত হয় না । নিদ্রা যদিও অস্মদাদির হিতকারিণী, কিন্তু কালাকাল বিচার পূর্বক উহার সেবা করা বিধেয়। অত্যন্তিকী সেবায় জাড্যাদি দোষ ও নানা পীড় ঘটিয়া থাকে। দিব রাত্রির পরিমাণ ৬০ ঠাঁ দণ্ড, এই পরিমাণের এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ বিংশতি দণ্ড কাল নিদ্র। গেলে স্বাস্থ্যের কোন হানি হয় না, প্রত্যুত শরীর স্বচ্ছন্দ ও সবল থাকে। ঐ এক তৃতীয়াংশ ভাগেরও নিৰ্দ্ধারিত সময় অাছে। যখন সৰ্ব্বজ্ঞ পুরুষ দিনমানে আলোকের ও রাত্রিমানে তিমিরের সৃষ্টি করিয়াছেন, তখন সুস্পষ্ট বোধ হইতেছে যে, মানবগণ দিবা ভাগে বৈষয়িক কৰ্ম্ম সমাধান করিবে, এবং বিভাবরীতে বিশ্রাম কfরবে। তাতএব দিবভাগে সাংসারিক কাৰ্য্য সম্পাদন পূর্বক নিশিযোগে আহারের অব্যবহিত পরেই পরিকত শয্যোপরি ঈশ্বরের নামোচ্চারণ করিতে করিতে আমাদিগের নিদ্র। যাওয়া আবশ্যক, এরূপ করিলে সুনিদ্রা হয় । যখন উষাদেবী প্রাচ্যদিকে অবিভাব পুরঃসর লোছিত আস্যে অন্ধকার গ্রাস করিতে আরম্ভ করেন ; পতত্রী সকল স্বীয় স্বীয় কুজন রূপ বিশ্বেশ্বরের মহিমা সংকীৰ্ত্তন করিতে করিতে কুলায় হইতে আহারান্বেষণ জন্য অন্তরীক্ষে উভৃউীন হয় ; কুণ্ডলিনী সমুদায় খাদ্য চেষ্টায় যামিনী যোগে পরিভ্রমণ পূর্বক ক্লান্ত হইয়া স্ব স্ব বিবর মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করে, রাত্রিঞ্চর জীবগণ, তরুণ দর্শনে শঙ্কিতন্তঃকরণে তাপন আপন আবাস স্থানে লুক্কায়িত