পাতা:সমাজ-সমস্যা - যামিনীমোহন ঘোষ.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dò R সমাজ-সমস্যা। বাল্যবিবাহপ্রথা সম্বন্ধে শাস্ত্ৰ কি বলেন ? ) পুৰ্ব্বকালে এদেশে এ হিন্দু সমাজে বিবাহ বলিতে সয়ম্বর প্রথারই প্ৰচলন ছিল। তখন শাস্ত্রকারদের আদেশ এই ছিল যে, ষোল বৎসর হইতে চব্বিশ বৎসর। পৰ্য্যন্ত স্ত্রীপক্ষে এবং পচিশ হইতে আটচল্লিশ পৰ্য্যন্ত পুরুষ পক্ষে বিবাহের উত্তম সময় । ইহার মধ্যে স্ত্রীপক্ষে ষোল এবং পুরুষপক্ষে পচিশ বৎসরে বিবাহ নিকৃষ্টকল্প বিবাহ বলিয়া পরিগণিত হইত। আঠারো অথবা কুড়ি বৎসর বয়স্কা । যুবতীর সহিত ত্ৰিশ, পয়ত্রিশ বা চল্লিশ বৎসর বয়সের পুরুষের বিবাহ মধ্যম কল্প বিবাহ বলিয়া অবধারিত হইত। তা’র পর চব্বিশ বৎসরের স্ত্রীর সহিত আটচল্লিশ বৎসর বয়সের পুরুষের বিবাহ উৎকৃষ্টকল্প বিবাহ বলিয়া অনুমিত হইত এবং যে দেশে এইপ্ৰকার বিবাহবিধি উত্তম বলিয়া অবধারিত হইত এবং এই সুদীর্ঘকাল ব্ৰহ্মচৰ্য্য ও বিদ্যাভ্যাসে ব্যয়িত হইত, সেই দেশই সুখপূর্ণ, আর "যে দেশে ইহার অন্যরূপ এবং বাল্যাবস্থায় অযোগ্য স্ত্রী-পুরুষের বিবাহ হইয়া থাকে। সেই দেশ দুঃখপূর্ণ হইয়া যায়। কারণ ব্ৰহ্মচর্ষ্য ও বিদ্যাগ্ৰহণ পুৰ্ব্বক বিবাহের বিশুদ্ধত হইতে সকল বিষয়ই বিশুদ্ধ হয় এবং উহার দোষ হওয়াতে সর্বপ্রকার দোেষই ঘটিয়া উঠিয়া থাকে। কেন না, ব্ৰহ্মচৰ্য্য ও বিদ্যাভ্যাস দ্বারা চরিত্র গঠন এবং চিত্ত বিশুদ্ধ হইয়া খাকে ; সুতরাং যত বেশী দিন ব্ৰহ্মচৰ্য্য পালন করিবে ও বিদ্যাভ্যাস করিবে, দৈহিক এবং মানসিক উন্নতি ততই অধিক্ল হইবে। কারণ, বীৰ্য ধারণেই দেহের বৃদ্ধি। যত অধিক সময় বীৰ্য্য ধারণ করিবে