পাতা:সমাজ-সমস্যা - যামিনীমোহন ঘোষ.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সমস্যা। : a আমরা অনেকেই বলিয়া থাকি “বাঙ্গালীর সাহস নাই। আর সেইই ত দোষ ; সাহস না থাকিলে কি কখনও কোনও কিছু হয় ?” ঠিক কথা । সৎ কৰ্ম্ম কি অসৎ কৰ্ম্ম, যাহাই কেন হো’ক । না, সম্পাদন করিতে হইলেই অগ্ৰে সাহসের উপর নির্ভর করিয়াই । আরম্ভ করিতে হয়, নইলে হয় না ; সাহস সর্বাগ্রে দরকার। আর বাঙ্গালীর সেই সাহসেরই অভাব । বাঙ্গালীর সাঙ্গস নাই। কিন্তু সাহস থাকিবে কিরূপে ? সাহস থাকিবে কিসে ? কিসের আশ্রয়ে ? সাহসের আধার সামর্থ্য। শক্তির আশ্রয়ে সাহসের আবাসভূমি। সামর্থ্য না থাকিলে সাহস থাকিবে কিসে-কি রূপে ? ? শরীরে শক্তি না থাকিলে সাহস থাকিবে কিরূপে ? কাহার অধীনে ঘসত করিবে ? বাঙ্গালীর সাহস নাই, ঠিক কথা । কিন্তু সাহস থাকে কিসে ? বাঙ্গালী আজ যথার্থ ভেতো— না, শুধু তাই নয়,-“সোগো”—“বোলে৷’--‘বাঙ্গালী”-হইয়া দাড়াইয়াছে । কিন্তু বাঙ্গালী ত এমন ছিল না । এই সে দিন নবাবের আমলের বাঙ্গালীদের চিত্ৰ দেখিলেই ত দেখিতে পাই পৃথিবীর অন্যান্য জাতির তুলনায় বাঙ্গালীর চেহারা, আকার ও আয়তনে কিছুতেই কাঠারো অপেক্ষা নিকৃষ্ট ছিল না। এমন কি, আমাদের ' পিতা পিতামহদিগের চেহারা দেখিলেই দেখিতে পাওয়া যায় এ | বাঙ্গালী এমন ছিল না। এ পরিবর্তন অতি অল্প দিনের, এ অধঃপতন অতি অল্প "সময়ের। ইহা দে কালের নয়, এ কালের । , যাহাই হউক, যতদিন-আর যে কালেরই cश', उष्ट्रांझा, বাস্তবিক পক্ষে, এখন আর এমন বিশেষ কোনই দরকার নাই। কিন্তু -