পাতা:সমাজ-সমস্যা - যামিনীমোহন ঘোষ.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সমস্যা d অধিকার অক্ষুঃ রাখা। কারণ, সংসারের উদ্দেশ্য সস্তান উৎপাদন। আর সেই সন্তান উৎপাদনের উদ্দেশ্য আমিত্ব বজায় রাখা। মানুষ জানে তাহাকে মরিতে হইবে ; কিন্তু সে তাহা চায় না, কখনও কেহ মরিতে চায় না। মানুষ মরিতে বাধ্য। কিন্তু তবু সে থাকিতে চায়। তাই যে কোনও প্রকারে আমিত্ব রাখিয়া যাইতে চায়। না হইলে আমার যাহা, আমি যাহা করিব, আমি যাহা অর্জন করিব তাহা কে ভোগ করিবে ? আমার যে কীৰ্ত্তিধ্বজ, কাৰ্যকলাপ, নাম, যশ এ সব বােঝা কে বহিয়া চলিবে ? কে আমার গৌরব গাথা গাহিয়া বেড়াইবে ? আর অবশেষে কে আমার কৰ্ম্মসুত্ৰ টানিয়া চলিবে ? তাই মানুষ বাচিয়া থাকিতে চায়। কিন্তু হায়, মানুষকে মরিতে হইবে, মানুষ মরিতে বাধ্য। { সন্তান আপনা হইতে উদ্ভূত, তাই সন্তানকে আত্মজ বলিয়া ” থাকে। সন্তান আপনা হইতে জন্মে-, আপনি মানুষ সন্তান হইয়া । জন্মগ্রহণ করিয়া আমিত্ব বজায় রাখিয়া যায় এবং এই নূতন আমিকেই আমার ছেলে নাম দিয়া তাহার যাহা কিছু তৎসমুদয় ভোগ দখলের অধিকারী, তাহার কীৰ্ত্তিধ্বজ, কাৰ্যকলাপের বােঝা বহনকারী, গৌরবুর্গাথা গায়ক, কৰ্ম্মসুত্রের ধারক এবং নাম বহন করিতে নিযুক্ত কুরিয়া সুখী হয়। “আমিত্ব” বজায়ের পথ এইরূপে । পূর্ণভাবে প্রশস্ত করিয়া থাকে। আসল কথা, ‘আমিশ্ব বজায় রাখা। কিন্তু এই আমিত্ব বজায় রাখার মূলে স্ত্রী’। তাই বৰ্হিঃ ইহার ব্যতিক্রম ঘটিলে আমার সংসারে সার বলিয়া আর কিছুই । থাকে না। কেন না, প্রকৃতপক্ষে সংসারে সার মাত্র ‘স্ত্রী’। স্ত্রীয়