পাতা:সমাজ-সমস্যা - যামিনীমোহন ঘোষ.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬ সমাজ-সমস্ত । থাকে । ইহাই সমাজ-বন্ধন, সমাজ-শাসন, সমাজশিক্ষা ও সমাজ সংরক্ষণ ইত্যাদি যাহা কিছু । কিন্তু আসল কথা—মূল ধন এক অনন্তের আধার অনন্তের অন্ত অাকারবহু এক ঈশ্বর । এই অনন্ত সৃষ্টি এক ঈশ্বর হইতে উডুত, এক ঈশ্বরেই নিহিত বা এক ঈশ্বরেরই অন্তভুক্ত । অসীম জগৎ, অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড, গ্ৰহ, নক্ষত্ৰ, কিন্তু এক ঈশ্বর । এক ঈশ্বর কিন্তু তঁহার লীলা অনন্ত । সত্য এক, কিন্তু ছায়া অনেক—তাহার উদঘাটন ও পালনপ্ৰথা অনেক ; উপাস্য এক, কিন্তু উপাসনার প্ৰণালী বহু ; ধৰ্ম্ম অনেক, কিন্তু তঁাহাদের নিয়ন্তী এক ;-উদ্দেশ্য এক, উপাস্য এক—সেই অনন্ত ঈশ্বর । অসংখ্য—অগনিত জীব মণ্ডলী জ্ঞাত কিংবা অজ্ঞাতসারে নিরন্তর অনন্তের আধার সেই ঈশ্বরের দিকে ধাবিত হইতেছে । আর, মানুষ ঈশ্বরের এই অনন্ত সৃষ্টির শ্ৰেষ্ঠ জীব, তাহারই তত্ত্ব নিরাপণে ব্যস্ত । মানুষ তাহাকে চায় । তারই জন্য মানুষের ধৰ্ম্ম, কৰ্ম্ম, সমাজ এবং শাস্ত্ৰ এ সব যাহা কিছু। কাজে কাজেই মানুষ তা’রই অনুরুপ মানুষকে চায়, মানুষের সমাজ চায় । তাই মানুষ লোকালয়ে থাকে, তাই মানুষ সমাজ গঠন করিয়া সমাজে থাকে। কেন ? কি প্ৰয়োজন ? প্ৰয়োজন: সত্যোদঘাটন । মানুষ সম্প্ৰদায় গঠন করে কি সমাজ করে, সেই সত্যোদঘাটনের সুবিধার জন্য, সেই সাধনা শিক্ষার জন্য । সমাজ সকল প্ৰকার সাধন প্ৰণালী শিক্ষার স্থান । এই শিক্ষার এবং সাধনার পরম্পর সাহায্যের জন্যই লোকে সমাজ গঠন করে এবং সমাজভুক্ত হইয়া সমাজে থাকে ।