বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ و و ج श्रांनना नांझे-ञांनन नांझे ! cनए* यांनन नांझे ! छांठिद्र झुलtब्र আনন্দ নাই! কেমন কবিয়া থাকিবে ? আমাদের এই স্বল্পায়ু ক্ষুদ্র শীর্ণ দেহ, অম্লশূলে বিদ্ধ, ম্যালেরিয়ায় জীর্ণ-রোগের অবধি নাই— বিশ্বব্যাপিনী আনন্দ সুধার অনন্ত প্রস্রবণধারা আমরা যথেষ্ট পরিমাণে ধারণ করিয়া রাখিতে পারি না—এই জন্য নিদ্রা আর ভাঙ্গে না, একবার শ্রান্ত হইয়া পড়িলে শ্রান্তি আর দূর হয় না—একবার কার্য্য ভাঙিয়া গেলে কাৰ্য্য আর গঠিত হয় না—একবার অবসাদ উপস্থিত হইলে তাহা ক্রমাগতই ঘনীভূত হইতে থাকে। অতএব কেবল মাতিয়া উঠিলেই হইবে না, সেই মত্ততা ধারণ করিয়া রাখিবার, সেই মত্ততা সমস্ত জাতির শিরার মধ্যে সঞ্চারিত করিয়া দিবার ক্ষমতা সঞ্চয় করা চাই। একটি স্থায়ী আনন্দের ভাব সমস্ত জাতির হৃদয়ে দৃঢ় বদ্ধমূল হওয়া চাই। এমন এক প্রবল উত্তেজনাশক্তি আমাদের জাতি হৃদয়ের কেন্দ্রস্থলে অহরহ দণ্ডায়মান থাকে যাহার আনন্দ উচ্ছসি বেগে আমাদের জীবনের প্রবাহ সহস্র ধারায় জগতের সহস্র দিকে প্রবাহিত হইতে পারে। কোথায় বা সে শক্তি ! কোথায় বা তাহার দাড়াইবার স্থান ! সে শক্তির পদভারে আমাদের এই জীর্ণ দেহ বিদীর্ণ হইয়া ধূলিসাৎ হইয়া যায়। আমি ত ভাই ভাবিয়া রাখিয়াছি, যে দেশের আবহাওয়ায় বেশী মশা জন্মায় সেখানে বড় জাতি জন্মিতে পারে না । এই আমাদের জলা জমি জঙ্গল এই কোমল মৃত্তিকার মধ্যে কৰ্ম্মানুষ্ঠানতৎপর প্রবল সভ্যতার স্রোত আসিয়া আমাদের কাননবেষ্টিত প্রচ্ছন্ন নিভৃত ক্ষুদ্র কুটারগুলি কেবল ভাঙিয়া দিতেছে মাত্র। আকাঙ্ক্ষা আনিয়া দিতেছে কিন্তু উপায় নাই—কাজ বাড়াইয়া দিতেছে কিন্তু শরীর নাই—অসন্তোষ আনিয়া দিতেছে কিন্তু উদ্যম নাই। আমাদের যে স্বস্তি ছিল তাঁহ ভাসাইয়া দিতেছে—তাহার পরিবর্তে যে মুখের মরীচিকা রচনা