এনে দিচ্ছে, এবং সর্ব্বদা সংঘাতের দ্বারা তাকে মহত্ত্বের পথে জাগ্রত করে’ রাখ্চে।
য়ুরোপ কেবল যদি নিজের প্রকৃতি অনুসারিণী শিক্ষা লাভ করত তাহ’লে য়ুরোপের আজ এমন উন্নতি হ’ত না। তাহলে য়ুরোপের সভ্যতার মধ্যে এমন ব্যাপ্তি থাক্ত না, তাহ’লে একই উদারক্ষেত্রে এত ধর্ম্মবীর এবং কর্ম্মবীরের অভ্যুদয় হ’ত না। খৃষ্টধর্ম্ম সর্ব্বদাই য়ুরোপের স্বর্গ এবং মর্ত্ত্য, মন এবং আত্মার মধ্যে সামঞ্জস্য সাধন করে রেখেছে।
খৃষ্টীয় শিক্ষা কেবল যে তলে তলে য়ুরোপীয় সভ্যতার মধ্যে আধ্যাত্মিক রসের সঞ্চার কর্চে তা নয়, তার মানসিক বিকাশের কত সহায়তা করেছে বলা যায় না। য়ুরোপের সাহিত্যে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। বাইব্ল্-সহযোগে প্রাচ্যভাব প্রাচ্যকল্পনা য়ুরোপের হৃদয়ে স্থান লাভ করে’ সেখানে কত কবিত্ব কত সৌন্দর্য্য বিকাশ করেছে; উপদেশের দ্বারায় নয় কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন জাতীয় ভাবের সহিত ঘনিষ্ঠ সংস্রবের দ্বারায় তার হৃদয়ের সার্ব্বজনীন অধিকার যে কত বিস্তৃত করেছে তা আজ কে বিশ্লেষ করে’ দেখাতে পারে?
সৌভাগ্যক্রমে আমরা যে শিক্ষা প্রাপ্ত হচ্চি তাও আমাদের প্রকৃতির সম্পূর্ণ অনুগত নয়। এই জন্যে আশা কর্চি এই নূতন শক্তির সমাগমে আমাদের বহুকালের একভাবাপন্ন জড়ত্ব পরিহার কর্তে পারব, নবজীবনহিল্লোলের স্পর্শে সজীবতা লাভ করে’ পুনরায় নবপত্রপুষ্পে বিকশিত হয়ে উঠব, আমাদের মানসিক রাজ্য সুদূরবিস্তৃতি লাভ কর্তে পার্বে।
কেহ কেহ বলেন য়ুরোপের ভাল য়ুরোপের পক্ষেই ভাল, আমাদের ভাল আমাদেরই ভাল। কিন্তু কোনো প্রকৃত ভাল কখনই পরস্পরের প্রতিযোগী নয় তারা সহযোগী। অবস্থা-বশত আমরা কেহ একটাকে কেহ আর একটাকে প্রাধান্য দিই, কিন্তু মানবের সর্ব্বাঙ্গীন হিতের