কলম্বাসের মন বলে, হয়ত তাদের ভ্রান্ত দৃষ্টি দিয়ে তারা দূরে দিক্-রেখার মেঘমণ্ডলকে স্থল বলে ভুল করেছে।
একজন বৃদ্ধ নাবিক একবার গল্প বল্লো যে, সমুদ্রতরঙ্গে দুটী লোকের মৃতদেহ একবার ভেসে আসতে সে দেখেছিল···লোক দুটীর চেহারা, গায়ের রঙ, পোষাক-পরিচ্ছদ তাদের মতন নয়, সম্পূর্ণ আলাদা এক দেশের, আলাদা এক জগতের লোক হবে তারা...
কোন-কোন নাবিক আবার গল্প করলো, দূর-সমুদ্রের ভেতর দিয়ে যেতে-যেতে তারা ঢেউয়ে নানারকমের বিচিত্র লতা-পাতা ভেসে আসতে দেখেছে... সে-রকম লতা-পাতা তো তাদের দেশে হয় না—আর মাটি না থাকলে লতা-পাতা আসবেই বা কোথা থেকে?
ক্রমশ-ক্রমশ কলম্বাসের মনে বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গেল যে, এই সীমাহীন মহাসাগর ধরে একটানা পশ্চিমমুখো গেলে, তিনি নিশ্চয়ই মাটির সন্ধান পাবেন···এশিয়ার মাটি···ভারতবর্ষের মাটি! ধার্ম্মিক লোক যেমন বিশ্বাস করে ঈশ্বরের অস্তিত্বে, কলম্বাসের মনে তেমনি আটলাণ্টিক মহাসাগরের ওপারে নতুন দেশের অস্তিত্ব সম্বন্ধে বিশ্বাস জেগে উঠলে।···কোন কিছুই তাঁর মনের এ-বিশ্বাস টলাতে পারলো না...