তাঁকে গোপন করে তাঁর প্ল্যান অনুযায়ী এক অভিযান পাঠিয়েছিলেন, তখন রাগে ও ঘৃণায় তাঁর মন ভরে গেল। যে দেশের রাজা এমন প্রবঞ্চনার কাজ করতে পারে, সে দেশে তিনি বাস করতে চাইলেন না। চিরকালের মত প্রতিজ্ঞা করে তিনি পর্ত্তুগাল ত্যাগ করলেন। কিন্তু তাঁর মনে যে বিশ্বাস তিনি আজীবনের অনুশীলনে গড়ে তুলেছিলেন, সে বিশ্বাসকে আরো সবলে আঁকড়ে ধরলেন।
পর্ত্তুগাল ত্যাগ করে ..য়ুরোপের এক রাজার দরজা থেকে আর-এক রাজার দরজায় তিনি ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। প্রত্যেকেই উন্মাদ বলে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করলো। ঘুরতে-ঘুরতে তিনি তাঁর জন্মভূমি জেনোয়া শহরে এলেন। সেখানেও কারুর কাছে কোন আশার বাণী তিনি পেলেন না।
হতাশ হয়ে তিনি চিঠি লিখে ইংলণ্ডের রাজার কাছে আবেদন জানালেন। কেউ-কেউ বলেন, তিনি তাঁর ভাই বার্থলোমিউকে ইংলণ্ডের রাজার কাছে পাঠিয়েছিলেন, এবং ভাইকে জাহাজে করে ইংলণ্ডে পাঠাতে, তাঁর যথাসর্ব্বস্ব তাঁকে বেচতে হয়েছিল জলের দরে!
ইংলণ্ডের সিংহাসনে তখন বসে ছিলেন রাজা সপ্তম হেনরী। বার্থলোমিউ কিন্তু ইংলণ্ড পর্য্যন্ত পৌঁছতে