...মুহূর্ত্তের মধ্যে সমস্ত আশঙ্কা দূরে ফেলে দিয়ে তারা আবার হাল ধরলো···উল্লাসে চীৎকার করতে-করতে তারা দিক্-রেখায় দৃশ্যমান সেই তট-রেখার দিকে জাহাজ ছুটিয়ে চল্লো— কিন্তু কিছুক্ষণ যাবার পর, তারা বুঝলো, তাদের দৃষ্টি-বিভ্রম! ও তট-রেখা নয়···দিগন্ত রেখার ধূসর মেঘ ·সমুদ্রে স্থলের মরীচিকা...
সমস্ত নাবিক এবার ক্ষেপে উঠলো···কিন্তু তাদের নায়কের মুখে ভয়ের রেখামাত্র নেই···দিনের পর দিন তিনি সেই এক আদেশ একই কণ্ঠস্বরে দিয়ে চলেছেন, ‘Westward always...বরাবর পশ্চিম দিকে···সোজা পশ্চিমমুখে। চল।’ ...
তারা বুঝলো যে একজন উন্মাদ লোকের পাল্লায় পড়ে তারা নিশ্চিত মরণের রাজ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে...কিম্বা সমুদ্রের মধ্যে যে মায়া-রাজ্যের কথা তারা শুনেছিল, তারই মধ্যে তারা এসে পড়েছে...মাঝে-মাঝে তারা যে জীবনের চিহ্ন দেখে,—ভেসে-আসা কাঠ, উড়ে-যাওয়া পাখী,—ও শুধু মায়ারাজ্যের যাদু...
আরো কিছুদূর যাওয়ার পর সবাই তারা দেখলো, কেমন এক ধরণের সামুদ্রিক আগাছা ভেসে আসছে... এগিয়ে গিয়ে দেখে, এমন আগাছা-বন সমুদ্রের ভেতরে