নৌকোগুলো যখন অগাধ নীল জলের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়, ছেলেটীর মনও সেই সঙ্গে-সঙ্গে চলে যায়! চলেযাওয়া নৌকোর দিকে এক দৃষ্টিতে সে চেয়ে থাকে,—সে চেয়ে থাকে, যতক্ষণ না দিক্চক্ররেখার আড়ালে একটা ছোট্ট পাখীর মতন হয়ে, নৌকোগুলে। অদৃশ্য হয়ে যায়!
ক্রমশঃ তার কৌতূহল এত বেড়ে উঠতে লাগলো যে, সে গায়ে পড়ে সেই সব নৌকোর নাবিকদের সঙ্গে ভাব করতো; জানতে চাইতো—কোথা থেকে তারা আসে, কোথায় তারা যায়? সমুদ্রের ওপারে কি আছে...শুধুই কি জল, আর জল? এ জলের কি শেষ নেই? ওপারে কি কোন দেশ নেই?
নাবিকরা গল্প করে, সমুদ্রের মধ্যে নানান দেশের কথা, নানান্ বিচিত্র দেশ, বিচিত্র সেখানকার লোক, বিচিত্র তাদের আচার-ব্যবহার! ছেলেটী অবাক হয়ে শোনে... সর্ব্বদেহ দিয়ে শোনে... শুনতে-শুনতে তার মনে হয়, সাগরের ওপার থেকে কে যেন তাকে ডাকছে!
এই কৌতূহলী ছেলেটীর নাম কলম্বাস, আর তার সঙ্গীরা হলো তার ভাই-বোন—তারা তিন ভাই আর এক বোন্।
ইতালীর বিখ্যাত বন্দর জেনোয়া শহরে এক ঘর