এ পর্য্যন্ত সেখানকার কোন লোকই তাদের কোন আক্রমণ করে নি...কিন্তু এখন যারা আক্রমণ করতে এগিয়ে এলো, সেই ঘোর কৃষ্ণবর্ণ লোকেরা হলো নরখাদক...বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কলম্বাসকে অস্ত্র ধারণ করতে হলো এবং যখন তাদের দুজন-চারজন লোক বন্দুকের গুলিতে মরে পড়ে গেল...তখন তারা আবার বনের মধ্যে পালিয়ে গেল···শ্বেতাঙ্গদের কর্ত্তৃক নতুন জগতে এই হলো প্রথম রক্তপাত...
পথে ফেরবার সময় কলম্বাস দেখলেন পিন্টা দূরে তাঁর সামনেই চলেছে...এমন সময় তুমুল ঝড় উঠলো... পিন্টার ক্যাপ্টেন তাঁর কাছে এসে ক্ষমা প্রার্থনা করলো; কিন্তু তখন ঝড়ের এ-রকম রুদ্র মূর্ত্তি যে তিনখানি জাহাজের একখানিরও রক্ষা পাওয়ার কোন আশাই রইলো না...
পাঁচদিন ধরে ক্রমান্বয়ে সেই ঝড় তেমনি ভয়ঙ্কর ভাবে বইতে লাগলো...কলম্বাসও যখন বুঝলেন যে, এ-যাত্রায় আর রক্ষে নেই...তখন তিনি তাঁর ভ্রমণ কাহিনী, যা পথে লিখে রেখেছিলেন, একটা টিনের ক্যানাস্তারার মধ্যে পূরে, ভাল করে সীল্ করে জলে ভাসিয়ে দিলেন...তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, যদি তাঁরা না বাঁচেন, হয়ত একদিন তাঁদের এই কাহিনী সভ্য জগতে গিয়ে পৌঁছুতে পারে...