শত্রুপক্ষ যে-সব কুৎসা রটিয়েছিল, তা তারা ষোলো আনাই বিশ্বাস করে নিয়েছিল।
পরের নিন্দার চেয়ে মুখরোচক জিনিস, সাধারণ মানুষের কাছে আর কিছু নেই। কাল যাকে তারা দেবতা-জ্ঞানে পূজা দিয়েছে, আজ তার নামে জঘন্যতম কুৎসা রটনা করে; বিচার করে দেখবার ধৈর্য্যটুকু পর্য্যন্ত তাদের থাকে না।
রাজসভায় রাজা ফার্ডিন্যাণ্ড ও রাণী ইসাবেল। তাঁকে সমাদর করলেন বটে কিন্তু সে সমাদরের মধ্যে তেমন কোন প্রাণের উত্তাপ ছিল না। রাজসভা থেকে কলম্বাস শুনলেন, গুঞ্জনধ্বনি হচ্ছে, যার মর্ম্ম হচ্ছে, কলম্বাস এমন কি আর করেছে···তারা ইচ্ছে করলে সবাই তা করতে পারতো!
কলম্বাসকে সম্মান দেখাবার জন্য একটা ভোজের আয়োজন হলো বটে, কিন্তু তাও যেন প্রাণশূন্য! কলম্বাস লক্ষ্য করলেন, ভোজে আয়োজনের অভাব নেই...সমারোহের অভাব নেই...অজস্র প্রাচুর্য্য চারদিকে উপ্ছে পড়ছে...তবু তাতে আন্তরিকতার অভাব! বরং এমন দু’চারটি কথাবার্ত্তা তাঁর কানে এলো, যা তাঁর কাছে জঘন্য বিদ্রূপ বলেই মনে হলো!