আবিষ্কারক কলম্বাস···শান্তিতে চির-নিদ্রিত! এতদিনে বুঝি সত্যই প্রমাণিত হলো···কলম্বাসের কৃতিত্ব ও সম্মান আজ সবাই বুঝতে পেরেছে···নূতন ও পুরাতন পৃথিবীর সর্ব্বত্রই উঠ্লো কলম্বাসের জয়-জয়কার!
সুদীর্ঘ আড়াই শ’ বছর এমনি ভাবে কেটে গেল। নূতন জগতের ধনৈশ্বর্য্য, নূতন জগতের জীব-জন্তু ও সম্পদ তখন পুরানো পৃথিবীর—বিশেষতঃ য়ুরোপের বুকে কত আশার আলোর রঙিন স্পন্দন জাগিয়ে তুলছিল!···ভাবের আবেশে কলম্বাসের বিজয়-বৈজয়ন্তী ক্রমশ সকলেই অভিভূত হয়ে মেনে নিচ্ছিল! কলম্বাসের নাম ও ছোঁয়াচ্ পেতে সকলেই যেন লোলুপ হয়ে ওঠে! পশ্চিম-ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম দ্বীপ-ভূমি ‘কিউবার’ বুকে তেমনি একটা আলোড়ন উপস্থিত হলো।
তারই ফলে···আড়াই শ’ বছরেরও কিছু বেশী দিন পরে ১৭৯৬ খৃষ্টাব্দে···কলম্বাসের সুপ্ত আত্মার হলো আবার এক নূতন জাগরণ!···নিদ্রিত কলম্বাসের দেহাস্থি ···আবার নূতন ভাবে সমাহিত করা হলো···কিউবার ‘হ্যাভানা’ শহর হলো এবারকার সমাধি-ভূমি।
এর কিছুকাল পর···কিউবা এক ভয়ানক যুদ্ধে জড়িত হয়ে পড়লো···তার শান্তিপূর্ণ আবহাওয়া যুদ্ধের ধুমে