পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবেক অশ্বিনীর, ঘড়িটা রাখিয়া আসাই ভাল। এমনিই অশ্বিনী তাকে ষে রকম অবজ্ঞা করে গরীব বলিয়া, অপদাৰ্থ বলিয়া, তার উপর চোব বলিয়া সন্দেহ করিলে না জানি কি ঘূণাটাই সে তাকে করিবে । কাজ নাই তার তুচ্ছ একটা সোণার ঘড়িতে । টাকাও তার আছে। পাঁচিশ টাকা । ভিতরে গিয়া মণিমালাকে একবার দেখিয়া আসিয়া ঘনশ্যাম বাহির হইয়া পড়িল। ট্রাম রাস্তা ধরিয়া কিছুদূর আগাইয়া সে শ্ৰীনিবাসের মণিব্যাগটা বাহির করিল। নোটগুলি পকেটে রাখিয়া ব্যাগটা হাতে করিয়াই চলিতে চলিতে এক সময় আলগোছে ব্যাগটা রাস্তায় ফেলিয়া দিল। খানিকটা গিয়া মুখ ফিরাইয়া দেখিল, ছাতি হাতে পাঞ্জাবী গায়ে একজন মাঝবয়সী গোপওয়ালা লোক খালি ব্যাগটার উপর পা দিয়া দাড়াইয়া কতই যেন আনমনে অন্যদিকে চাহিয়া আছে । ঘনশ্যাম একটু হাসিল। একটু পরেই ব্যাগটা তুলিয়া লইয়া লোকটি সরিয়া পড়িবে। হয়তো কোন পার্কে নির্জন বেঞ্চে বসিয়া পরম আগ্রহে সে ব্যাগটা খুলিবে। যখন দেখিবে ভিতরটা একেবারে খালি, কি মজাই হইবে তখন ! খুচরা সাড়ে সাত আনা পয়সা পর্যন্ত সে ব্যাগটা হইতে বাহির করিয়া লইয়াছে। স্টপেজে ট্রাম থামাইয়া ঘনশ্যাম উঠিয়া পড়িল । খুচরা সাড়ে সাত আনা পয়সা থাকায় সুবিধা হইয়াছে। নয়তো ট্রামের টিকিট কেনা। যাইত না। তার কাছে শুধু দশ টাকা আর পাঁচ টাকার 6नांत्र । অশ্বিনীর বৈঠকখানায় লোক ছিল না। তার নিজের বসিবার ঘরটিও খালি ! টেবিলে কয়েকটা চিঠির উপর ঘড়িটা চাপা দেওয়া ছিল, চিঠিগুলি SSS)