পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ জামা কাপড় বকশিশ পাইয়াছে, সকলে তাকে যেরকম স্নেহ কারিত এখন গিয়া চাহিলে কি আর কয়েকটা পাওয়া যাইবে না ? বাগানের সামনে চুণবালি খসা ইট বাহির করা পুরানো প্রাচীর। মিসেস লাইয়নের বাগানের বহিঃপ্রাচীর দেখিতে অভ্যস্ত চোখে এ প্রাচীর দেখিয়াই মনোহরের মনে অবজ্ঞা জাগা উচিত ছিল। কিন্তু কাছাকাছি আসিয়া হঠাৎ সে অভিভূতের মত দাড়াইয়া পড়িল, ক্লোরোফর্মের ঝাপটা লাগিয়া চেতনা যেন তার অবশ হইয়া আসিয়াছে। বাতাস বহিতেছে অতি মৃদু, ভাল করিয়া অনুভবও করা যায় না, কিন্তু নানা ফুলের ষে মিশ্রিত গাঢ় গন্ধ চারিদিকে ছড়াইয়া পড়িতেছে তা যেন न्oo कद्ध बांव । মরিচ ধরা লোহার গেট ঠেলিয়া মনোহর ভিতরে গেল, গেট খুলিতে আর বন্ধ করিতে যে তীক্ষ আওয়াজ উঠিল সেটা তার কাণে গেল। কিনা সন্দেহ। বাগানের মধ্যে ফুলের গন্ধ আরও বেশী ঘন, আরও বেশী মোহকার। দম যেন আটকাইয়া আসিতে চায়। চারিদিকে এলোমেলো ভাবে রাশি রাশি ফুল ফুটিয়া আছে, সাধারণ চেনা সুগন্ধি ফুল। কয়েক মাসের অযত্ন আর অবহেলার চিহ্ন চারিদিকে স্পষ্ট চোখে পড়ে, গোড়ায় জল দেওয়া আর ঝরাপাতা জমিলে বাটইয়া ফেলা ছাড়া বাগানের দিকে এতকাল কেউ বিশেষ নজর দিয়াছে কিনা সন্দেহ। চারিদিকে কত যে আগাছা মাথা উচু করিয়াছে ! গাছগুলির কোনটা বড়, কোনটা ছোট, কোনটা জমকালো, কোনটা শীর্ণ-ডালপাতা সব এলোমেলো ভাবে ছড়ানো। কিন্তু তাতে ফুল ফুটিবার বাধা হয় নাই। মনোহর বাগানের চারিদিকে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে, রায়বাহাদুরের গিল্পী তিন মেয়ে, এক বেী আর দুই ভাগ্নীকে সঙ্গে নিয়া পাড়ায় SN9e