পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਣਤਤ5 স্মৃতি শাস্ত্ৰে কথিত আছে, অগ্নিদাতা, বিষদাতা, শাস্ত্ৰধারী এবং ধন, ক্ষেত্র ও স্ত্রী অপহারক আততায়ী । অগ্নিকাণ্ডটি হইয়াছিল বেশ বড় রকমের। দিবাকর ও কৃত্তিবাস দুজনেই তখন ছেলে মানুষ। মফঃস্বলের এক সহরে একটা পানাভেরা পুকুরের দুই তীরে দু’টি বাড়ীতে তারা বাস করিত। দক্ষিণের চার ভিটায় চারখানা ছোট ছোট ঘরের ছোট বাড়ীতে থাকিত দিবাকর এবং উত্তরের সাত আট ভিটায় ছোট বড় সাত আটটি ঘরের বড় বাড়ীতে থাকিত কৃত্তিবাস । কৃত্তিবাসের বাবা ধনদাস লোকটা ছিল বড় রোগা আর বড় রাগী। মেজাজ তার সব সময়েই গরম হইয়া থাকিত। ইদানীং কতকগুলি সাংসারিক হাঙ্গামায়, সে মেজাজে উত্তাপ সঞ্চারিত হইয়াছিল অনেক বেশী। একদিন তাই বেলা এগারটার সময় স্কুলে যাওয়ার বদলে রান্নাঘরের পিছনে ডোবার ধারে একটা বঁাশঝাড়ের নীচে দিবাকরের আবিষ্কৃত নুতন বেজী ধরা ফাদটি পাতিতে দু’জনকে খুব ব্যস্ত দেখিয়া মারিতে মারিতে দুইজনকেই প্রায় আধ মরা করিয়া ফেলিল। দিবাকর ছিল কাঠির মত সরু সাপের মত ভীরু আর চড়ুই পাখীর মত কোমল, একটি চড়েই সে আধ মরা হইয়া গেল। কৃত্তিবাসকে আধমরা করিতে দুর্বল ধনদাসের ঠিাফ ধরিয়া গেল। স্কুল দু'জনে আগেও অনেকবার ফাঁকি দিয়াছে, সেদিন। কিন্তু সত্যই স্কুলের ছুটি ছিল। তবে কিনা বিচারে শাস্তি দিবার অধিকারটা দেশের বিদেশী সৎ-বাপের চেয়ে ঘরের ছেলের ঘরোয় আপন বাপের বেশী ԳԳ