বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সমূহ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
সমূহ।

প্রত্যেক দাবির ব্যর্থতায় বিদ্বেষে উত্তেজিত হইয়া উঠিতেছি। এই উত্তেজিত হওয়ামাত্রকেই আমরা স্বদেশহিতৈষিতা বলিয়া গণ্য করি। যাহা আমাদের দুর্বলতা, তাহাকে বড় নাম দিয়া কেবল যে আমরা সান্ত্বলাভ করিতেছি, তাহা নহে, গৰ্ববােধ করিতেছি।

 এ কথা একবার ভাবিয়া দেখ, মাতাকে তাহার সন্তানের সেবা হইতে মুক্তি দিয়া সেই কার্যভার যদি অন্যে গ্রহণ করে, তবে মাতার পক্ষে তাহা অসহ্য হয়। ইহার কারণ, সন্তানের প্রতি অকৃত্রিম স্নেহই তাহার সন্তানসেবার আশ্রয়স্থল। দেশহিতৈষিতারও যথার্থ লক্ষণ দেশের হিতকর্ম্ম আগ্রহপূর্বক নিজের হাতে লইবার চেষ্টা। দেশের সেবা বিদেশীর হাতে চালাইবার চাতুরী, যথার্থ প্রীতির চিত্ন নহে; তাহাকে যথার্থ বুদ্ধির লক্ষণ বলিয়াও স্বীকার করিতে পারি না, কারণ এরূপ চেষ্টা কোনােমতেই সফল হইবার নহে।

১৩১১।

পাবনা প্রাদেশিক সম্মিলনী উপলক্ষে অভিভাষণ।

 অদ্যকার এই মহাসভায় সভাপতির আসনে আহ্বান করিয়া আপনারা আমাকে যে সম্মান দান করিয়াছেন, আমি তাহার অযােগ্য একথার উল্লেখমাত্রও বাহুল্য। বস্তুতঃ এরূপ সম্মান গ্রহণ করা সহজ, বহন করাই কঠিন। অযােগ্য লােককে উচ্চপদে বসাননা তাহাকে অপদস্থ করিবারই উপায়।

 অন্য সময় হইলে এতবড় দুঃসাধ্য দায়িত্ব হইতে নিষ্কৃতি লাভের চেষ্টা করিতাম। কিন্তু বর্তমানে আমাদের আত্মবিচ্ছেদের সঙ্কটকালে যখন