পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাত্রকে সম্মোহিত করিবার প্রাথমিক উপদেশ স্বারা অভিভূত হয় নাই, সেও আদেশের প্রতি যথোপযুক্তরূপে মনঃংযোগ করিতে পারিলে সম্মোহিত হইয়া থাকে। তথাপি উক্ত প্রণালীতে কাৰ্য্য করিলে যে শিক্ষার্থী অধিকাংশ চেষ্টাতেই সফল মনোরথ হইবে, তাহাতে সন্দেহ নাই। অভিজ্ঞ সম্মোহনবিদগণ পত্রিকে নিদ্রিত করিবার পূৰ্ব্বে, তাহাকে জাগ্রদবস্থায় মোহিত করা আবশুক বোধ করেন না ; যেহেতু তাহারা মুখাকৃতি দেখিয়াই অনেক সময় অভ্রান্তরূপে তাহার সংবেদনার পরিমাণ করিতে পারেন। কিন্তু শিক্ষার্থ তাহ। আশা করিতে পারে না। র্যাহারা বহু শত লোক মোহিত করিয়া অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছেন, তাহীদের সহিত তাহার তুলনা হইতে পারে না। আর দ্বিতীয় কারণ এই যে, পত্রিকে জাগ্রদবস্থায় বশীভূত করিতে পারিলে, কাৰ্য্যকারকের শক্তির প্রতি তাহার যে বিশ্বাস জন্মে, তাহ তাহার মনে অবিশ্বকীয় একাগ্রতা উৎপাদনের সাহায্য করতঃ তাহাকে তাহার আদেশের প্রতি অধিক আকৃষ্ট করিয়া থাকে। এই নিমিত্ত কোন নির্দিষ্ট সম্মোহনবিদের প্রতি কাহারও বেশী বিশ্বাস থাকিলে, সে তাঁহাকে যত সহজে মোহিত করিতে সমর্থ হয়, অপর কোন কাৰ্য্যকারক তাহা করিতে পারে না। কাৰ্য্যকারক স্বীয় আচার, ব্যবহার, কাৰ্য্য ইত্যাদি দ্বারা যত বেশী পরিমাণে লোকের বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিতে পরিবে, সে তত অধিক কাৰ্য্যকুশল সম্মোহনবিৎ হইতে সমর্থ হইবে। পাত্রকে ষে ঘরে সম্মোহন করিতে ইচ্ছা করিবে, তাহা খুব নীরব ও নির্জন হওয়া আবিস্তক। কায করিবার সময় বাহিরের গোলমাল, শব্দ, ইত্যাদিতে কাৰ্য্যকারকের নিজের ও পাত্রের একাগ্রতা নষ্ট না হয়, কিম্বা বাহির হইতে বাতাস আসিয়া তাহদের উভয়ের চক্ষু কঁপিাইতে না পারে, Sey