পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা আবশ্বকভ নাই,-আমি তোমাকে আর বেশীক্ষণ ঘুমাইতে দিব না। জাগ-জাগ—জাগ ; তুমি এখনই জাগিয়া উঠিবে – জগ-জাগ—জেগে উঠ-জেগে উঠ—জাগ” ইত্যাদি । তৎপরে বলিবে—“এখন আমি এক হইতে কুড়ি পৰ্য্যন্ত সংখ্যাগুলি গণিব ; তুমি আমার কুড়ি গণ শেষ হওয়ার পূর্বেই জাগিয়া উঠিবে এবং চেয়ার হইতে উঠিয়া দাড়াইবে। মনে রেখ, আমার কুড়ি গণ শেষ হওয়ার পূর্বেই তোমাকে জাগিতে হইবে। প্রস্তুভ হও—এক-দুই-তিন-চার ; জাগ–জাগ— জেগে উঠ ; পাঁচ-ছয়-সাত-আট-নয়-দশ—এগার— বার ; জাগ-জাগ—ঘুম ভেঙ্গে গেছে ; ভের-চোঁদ-পনর— ষোল-সত্তর-আঠার-উনিশ–কুড়ি ; জাগ-জাগ—জেগে উঠ–জাগ—ঘুম ভেঙ্গে গেছে—উঠে দাড়াও” ইত্যাদি। যথাযথরূপে এই নিয়মের অনুসরণ করিতে পারিলে মোহিত ব্যক্তি নিশ্চয় জাগ্রত ও প্রকৃতিস্থ হইয়া উঠিবে। ক্রীড়া প্রদর্শকগণ রঙ্গালয়ে থেলা দেখাইবার সময় স্বাভাবিক বা জাগ্রদবস্থার এবং সম্মোহন নিদ্রীয় অভিভূত পত্রিদিগকে আদেশ ও তৎসঙ্গে জোরে করতালি দিয়া হঠাৎ জাগ্ৰত করিয়া থাকে ; উহা দ্বারা তাহীদের স্নায়ুমণ্ডলীতে অকস্মাৎ আঘাত (shock ) লাগার সম্ভাবনা আছে বলিয়া উক্ত প্রণালীতে কোন পাত্রকে জাগ্রত না করাই সঙ্গত । মৌখিক আদেশ ও পাস দ্বারা জাগ্রত করিলে তাঁহাদের শরীর বা মনের কোনরূপ অনিষ্ট হইতে পারেন। এজন্ত কাৰ্য্যকারক, সৰ্ব্বদ હફે নিয়মেরই অনুসরণ করিবে। \రి8