পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা হইয়া থাকে। উক্তাবস্থা ইচ্ছাশক্তির বিরোধে উৎপন্ন হয়না বলিয়াই কাৰ্য্যকারক অপেক্ষা পাত্রের ইচ্ছাশক্তি প্রখরতর হইলেও, তাহার শরীরে মোহিতাবস্থা উৎপাদনের কোন অন্তরায় হয়না । বরং পাত্রের ইচ্ছাশক্তি প্রখর থাকিলে, সে অপরাপর ব্যক্তি অপেক্ষ আদিষ্ট বিষয়ে অধিক মনোনিবেশ করিতে পারে বলিয়া সহজেই মোহিত হইয়া থাকে । অন্তান্ত বিজ্ঞানের দ্যায় সম্মোহন বিজ্ঞানেরও কাৰ্য্যকরী শক্তি একটি নির্দিষ্ট সীমায় আবদ্ধ। সুতরাং সম্মোহনবিদের শক্তিও সীমাবদ্ধ। তন্মধ্যে যে সকল কাৰ্য্যকারকের পারদর্শিতা অল্প, তাহারা অল্প লোককে, আর যাহারা অভিজ্ঞ ও বহুদশী তাহারা অধিক লোককে মোহিত করিতে পারেন ; কিন্তু কোন সম্মোহনবিদই সকল লোককে সম্মোহিত করিতে পারেননা ।”

  • প্রস্তাবিত ক্রীড়াটি প্রদর্শন করিবার নিমিত্ত, আমি আপনাদের মধ্য হইতে আপনাদের বিশ্বস্ত বা বিশেষ পরিচিত গুটি বার বালক ও যুবক লইব । আমি তাহাদিগকে মোহিত করিয়াই সমস্ত ক্রীড়া দেখাইব । ক্রীড়া প্রদর্শনের নিমিত্ত বিশেষ ভাবে এখানকার স্থানীয় লোক মনোনীত করার কারণ এই যে, আপনাদের নিজের লোকেরা সম্মোহিত হইলে তাহদের মোহিতাবস্থা সম্বন্ধে আপনাদের যেমন দৃঢ় বিশ্বাস হইবে, আমার নিজের লোক বা অপর কোন অপরিচিত লোককে সম্মোহিত করিলে আপনাদের সকলের হয়ত তেমন বিশ্বাস হইবেন । যদিও মোহিত ব্যক্তি দ্বারা এমন অনেক কাৰ্য্য করাইতে পারা যায়, যাহা লে স্বাভাবিক অবস্থায় ইচ্ছাপূৰ্ব্বক কিছুতেই করিতে পারেন, তথাপি আমি সন্দেহ-সম্বুল পথ পরিত্যাগ করতঃ আপনাদের বিশ্বস্ত বা বিশেষ পরিচিত লোকদিগকেই

১৯২