পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পাঠ আহার-বিহার, মানসিক গুণাগুণ ইত্যাদি যে সকল শিক্ষার্থ উচ্চশ্রেণীর সম্মোহনবিৎ হইবার অভিলাষী, তাহাদিগকে শক্তি লাভের জন্য যত্নবান হইতে হইবে। সকল নর-নারীর হৃদয়েই অল্পধিক পরিমাণে সম্মোন শক্তি নিহিত আছে এবং সংযম বা সাধনা দ্বারা তাহারা সকলেই উহা বৰ্দ্ধিত করিতে পারে। এই সংযম বা সাধনা কাহার কাহার নিকট খুব কঠোর বলিয়া বোধ হইলেও এই শক্তি লাভের অন্ত কোন উপায় নাই। প্রবাদ আছে, “সিদ্ধির পথ কুসুমাবৃত নয়”। অতএব এই বিষয়ে যাহার আন্তরিক স্পৃহা আছে, তাহাকে এই সংযমের ভিতর অবগু প্রবেশ করিতে হইবে। শক্তিকামীর স্বাস্থ্য খুব ভাল হইবে ; অন্যথায় সে ইহাতে সাফল্য লাভ করিতে পরিবেন । রুগ্নবস্থায় জীবনী-শক্তি নিস্তেজ হইয় পড়ে বলিয়া উহ! শক্তি সাধনার পক্ষে মোটেই অনুকুল নয়। যৌবনকালে দেহের সৰ্ব্বাবয়ব পুষ্ট এবং জীবনীশক্তির প্রাচুর্য্য ও প্রাথর্য্য বৰ্দ্ধিত হয়, সেজন্ত এই সাধনার উহাই প্রকৃষ্ট সময়। কিন্তু শরীর ও মন সুস্থ থাকিলে প্রৌঢ় ব্যক্তিরাও এই শিক্ষায় সমর্থ হইতে পারে ; কেবল জীবনী-শক্তির অল্পত বশতঃ বৃদ্ধের ইহাতে অপারগ হয়। ব্রহ্মচৰ্য্য প্রথম শিক্ষার্থকে ব্রহ্মচৰ্য্য-ব্রত অবলম্বন করিতে হইবে। ব্রহ্মচর্যের অর্থ বীৰ্য্য ধারণ এবং তৎসঙ্গে চিন্তা ও কৰ্ম্মের নানা প্রকার সংযম। শুক্রই २०१