মোহ নিদ্রার বিভিন্ন স্তর দুইটি উলটিয়া গিয়া অদৃপ্ত হয় এবং কেবল উহাদের সাদা অংশই দেখা যায়। এই অবস্থায় তাহার চতুঃপার্শ্বস্তু বস্তু, বিষয় বা ঘটনা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ বিস্কৃতি ঘটিয়া থাকে। (গ) সম্মোহনবিং নিজের হাত পাত্রের মুদিত চক্ষুর সামনে অস্তে আস্তে এদিক-ওদিক চালনা করিলে পাত্রের মাথা উহার গতি অনুসরণ করিয়া থাকে। কারণ এখন তাহার অাত্মিক ইন্দ্রিয়গণ কার্য্যোপযোগী ভাবে সজাগ হইয় উঠে বলিয়া সে, উহাদের সাহায্যে সুন্নতর উপায়ে বস্তু বা বিষয় সকল উপলব্ধি করিতে সমর্থ হইয় থাকে। যদি তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করা যায় যে, সে কাৰ্য্যকারককে দেখিতে পাইতেছে কিনা, তবে সে তাহাতে স্পষ্টরূপে সম্মতি সুচক জবাব দিয়া থাকে। এখন তাহাকে যে কোন প্রশ্ন করিলে সে অনায়াসে উহার উত্তর দিতে পারে। (৫) উচ্চাবস্থা –পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী অবস্থাই গভীরতর হইয়। এই অস্তিম স্তরে পরিণত হয়। এই স্তর কদাচিৎ দৃষ্টি হয়। যে সকল পাত্রের আত্মিক সংবেদন অত্যন্ত অধিক, তাহীদের মধ্যে যাহার এই স্তরে পৌছিবার অন্তিরিক অভিলাষী, তাহদের কেহ কেহ কদাচিৎ এই স্তরে উপনীত হইয়া থাকে। সম্মোহনবিৎ স্বীয় শক্তি বা কৌশল দ্বারা কখনও কোন পাত্রকে এই স্তরে আনয়ন করিতে পারেন, ইহা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিকশিত হইয়া থাকে। এই স্তর স্করণের নিমিত্ত কাৰ্য্যকারক পত্রিকে গভীর মোহ নিদ্রায় অভিভূত রাখা ভিন্ন অন্ত কিছুই করিতে পারেন। ইহাতে পাত্রের অভ্যন্তরীণ জাগরণ হয়, এবং তাহীর অন্তর্নিহিত আত্মিক শক্তি ও বৃত্তি সমূহ পূর্ণ মাত্রায় স্ফরিত হইয়া অতি উচ্চ শ্রেণীর রহস্যময় নানা প্রকার ইন্দ্রিয়গ্রাহ ব্যাপার সকল সংঘটন করিয়া থাকে। ২৩১