পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা হয়, আর স্ত্রী পাত্রিগণ উহা দ্বারা প্রত্যাদেশ ও অন্তদৃষ্টি সম্বন্ধেই অধিক যোগ্যতা প্রদর্শন করিয়া থাকে। এই মত অভ্রান্ত বলিয়া বোধ হয়না । কারণ পাত্ৰিগণের দ্বারাও নানাবিধ বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের আবিষ্কার ও বিষয়-কৰ্ম্ম সংক্রান্ত অনেক প্রশ্নের সমাধান হইয়াছে বলিয়া জানা গিয়াছে। পাত্র সংগ্ৰহ হইলে পর কার্য্যকারক তাহকে এইরূপ বলিবে, “আমি এখন তোমার আত্মিক শক্তি-চিন্তা-পঠন, দিব্যদৃষ্টি ইত্যাদি বিকাশের জন্য তোমাকে গভীরতর মোহ নিদ্রায় নিদ্রিত করণান্তর নানা প্রকার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিব। আমার কোন একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসার পর, তোমার মনে প্রথম যে ভাবটি উদয় হইবে, বা তুমি অন্তদৃষ্টি দ্বারা যাহা প্রথম দেখিতে বা বুঝিতে পাইবে, তুমি তাঁহাই করিবে বা উত্তর স্বরূপ আমাকে বলিবে। যদি তুমি তাহা না করিয়া অন্ত কিছু বল বা কর, তবে তাহা ভুল হইবে এবং আমাদের চেষ্টা বিফল হইবে।” এরূপ উপদেশ দেওয়ার পর, তাহাকে মেসমেরাইজ করত: তৃতীয় স্তরে আনয়ন করিবে । যখন সে উক্তাবস্থায় আসিয়া নানা প্রকার মায় ও ভ্রমের অধীন হইয়াছে, তখন তাহকে ৪র্থ স্তরে পৌছাইবার প্রয়াস পাইবে । পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, এই স্তরের বিকাশ সম্পূর্ণরূপে পাত্রের আত্মিক ক্ষমতার ( psychic ability ) উপর নির্ভর করে বলিয়া, কাৰ্য্যকারক স্বীয় শক্তি দ্বারা কোন পত্রিকেই এই অবস্থায় আনয়ন করিতে পারে না—কেবল গভীর নিদ্র উৎপাদন করতঃ তাহার সাহায্য করিতে পারে মাত্র । সুতরাং সে উপযুক্ত পরিমাণে পাস, আকর্ষণী স্পর্শ, মোহিনী দৃষ্টি ও ইচ্ছ। শক্তির প্রয়োগ দ্বারা পাত্রের নিদ্রা তাহার ミや●