পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাত্রের আত্মিক শক্তি বিকাশ করণ উপনীত হইয়া থাকে। অবগুই এরূপ পাত্রের সংখ্যা নিতান্ত বিরল। এই অবস্থায় পাত্রের আত্মিক শক্তি সকল পূর্ণ মাত্রায় বিকশিত হইয়া উঠে এবং সে ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমান সম্বন্ধে যাবতীর প্রশ্নের সত্য উত্তর দিতে সমর্থ হইয় থাকে। তদ্ভিন্ন সে জটিল রোগাদির প্রকৃত কারণ নির্ণয়, ব্যক্তি বিশেষের মনোভাব অবগত, বা তাহার জীবনের ঘটনাবলীর রহস্ত পরিজ্ঞাত এবং বিশেষ কোন বস্তু, বিষয় বা ঘটনার অভ্যন্তরীণ বিষয় প্রত্যক্ষ করিতে পারে। উক্তাবস্থায় কাৰ্য্যকারক নিজের কার্য্য-প্রণালী সম্বন্ধে বা স্বীয় শারীরিক, মানসিক, বৈষয়িক বা আধ্যাত্মিক উন্নতি বিষয়ে জিজ্ঞাস্থ হইলে, তাহার নিকট হইতে যথার্থ মূল্যবান উপদেশ লাভ করিতে পারে। যে সকল পাত্র একবার এই অবস্থায় উপনীত হয়, তাহীদের কাহার কাহারও এই শক্তি স্থায়ীরূপে লাভ হইয়া থাকে। তখন সে কোন কাৰ্য্যকারকের সাহায্য ভিন্ন, কেবল নিজের ইচ্ছাশক্তি বলেই উহাকে জাগ্রত করিয়া প্রয়োজনীয় কার্য্যে নিয়োগ করিতে পারে। কাৰ্য্যকারক সম্মোহন বিজ্ঞানের এই উচ্চতর শাখায় সাফল্য লাভের অভিলাষী হইলে, তাহাকে পাত্রের আত্মিক শক্তি এবং স্বীয় ক্ষমতার প্রতি আস্থাবান হইয়া চর্চা বা অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত থাকিতে হইবে। সে ংকল্পশীলতা, অধ্যবসায় ও ধীরতার সহিত উপযুক্ত বিচারবুদ্ধি লইয় কার্য্যে প্রবৃত্ত হইবে এবং তৎকালে সন্দেহ, বিরক্তি ও ভয় পরিত্যাগ করিবে । তাহার দ্যায় পাত্রও স্বীয় শক্তি সমূহের প্রতি দৃঢ় আস্থাবান থাকিবে এবং মোহ নিদ্রার সাহায্যে যে উহারা স্ফরিত হইতে পারে, তাহা বিশ্বাস করিবে এবং তদ্ব্যতীত শক্তি বিকাশের জন্ত তাহার অস্তিরিক ২৬৭