পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পাঠ মোহ নিদ্র দূরীভূত করণ কাৰ্য্যকারক সম্মোহন করিবার বিভিন্ন প্রণালী শিক্ষার সঙ্গে মোহিত পীত্রকে প্রকৃতিস্থ করিবার উপায় গুলিও সুন্দর রূপে হৃদয়ঙ্গম করিয়া লইবে । যেহেতু তৎসম্বন্ধে তাহার ভাল রূপ জ্ঞান না থাকিলে, সে কাহাকে ও মোহিত করণান্তর পুনরায় স্বাভাবিকাবস্থায় আনয়ন করিতে পারিবে না এবং তাহীতে সে নিশ্চয় ভীত ও বিচলিত হইয়া পড়িবে। মোহিতাবস্থায় পাত্রের মন অতিশয় সংবেদ্য এবং কাৰ্য্যকারকের মনের সহিত তাহর মনের খুব ঐক্য স্থাপিত হয় বলিয়া, তাহার ( কাৰ্য্য কারকের ) মনে কোন উত্তেজন পূর্ণ চিন্তা থাকিলে তাহ পাত্রের মনে ( telepathically ) প্রবেশ কারয় তাহাকে আরও বেশী উত্তেজিত করিয়া থাকে এবং তাহাতে সময় সময় “ক্রস-মেস্মেরিজম্‌” বা “ক্রস-মাগ্রেটজম্‌” (Cross-Mesmerism or Cross-Magnetism ) নামক একটা অপ্রীতিকর অবস্থা উৎপাদিত হইতে পারে । মোহিত বাক্তি এই অবস্থায় পৌছিলে তাহকে জাগ্রত করা খুব কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হইয়া দাড়ায় । কেবল তাহাই নয়, উহা হইতে মোহিত ব্যক্তির শরীর এবং মনের অনেক প্রকার অনিষ্টও হইতে পারে। এতদ্ব্যতীত মোহিত ব্যক্তিকে কাৰ্য্যকারক ভিন্ন অপর কোন লোক স্পর্শ করিলেও উক্ত ২৬৯