পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা আত্মিক চিকিৎসা প্রধানতঃ দুই প্রকারে করা হইয়া থাকে। প্রথম প্রকার—রোগীকে সম্মোহিত বা মোহ নিদ্রায় নিদ্রিত করিয়া ; অন্ত প্রকার—তাঁহাকে মোহিত না করিয়া—তাহাকে কেবল উদাসীনাবস্থায় passive state) আনয়ন করিয়া। এই উভয় প্রণালীতেই রোগীকে রোগারোগ্যের উপযোগী ইচ্ছা শক্তিপূর্ণ মৌখিক বা মানসিক আদেশ প্রদান এবং তাছার পীড়িত স্থানে পাস দিতে হয় ; আর রোগ চরিত্র গত বা মানসিক হইলে কেবল উপযুক্ত মৌখিক বা মানসিক আদেশ দিতে হয়। সম্মোহনবিং এই প্রণালীতে কোন রোগ চিকিৎসা করিতে, রোগী বা তাহার আত্মীয়ের নিকট হইতে রোগোৎপত্তির বিবরণ সম্যক রূপে অবগত হইয়া, উপযুক্ত আদেশের সাহায্যে সৰ্ব্বাগ্রে উহার মূল কারণ দূরীভূত করিতে চেষ্টা পাইবে। রোগ মানসিক হইলে কোন আত্মীয় অপেক্ষ রোগী নিজেই উহার কারণ সঠিকৰূপে বর্ণনা করিতে পরিবে । সময় সময় কোন কোন রোগী স্বাভাবিক বা জাগ্রদবস্থায় রোগোৎপত্ত্বির এক রূপ বিবরণ দিয়া, মোহিতাবস্থায় আবার উহার সম্পূর্ণ বিভিন্ন ইতিহাস প্রদান করে ; এরূপ স্থলে কাৰ্য্যকারক তাহার মোহিতাবস্থায় প্রদত্ত বর্ণনার উপরই অধিক নির্ভরশীল হইয়া তাহীর চিকিৎসা করিবে । এতদ্ব্যতীত তাহাকে সৰ্ব্বদা রোগের গুরুত্ব বুঝিয়াও কাৰ্য্য করিতে হইবে। রোগ কঠিন হইলে তাহা আরোগ্য করিতে প্রায়ই বেশী দিন চিকিৎসার আবশ্যক হইয়া থাকে রোগী সংবেদ্য হইলে সময় সময় অনেক কঠিন রোগও ৪৫টা বৈঠকেই আরোগ্য হইতে পারে ; কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চিকিৎসককে (healer) খুব ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতার সহিত কাৰ্য্য করিতে হয়। যে সকল সম্মোহনবিং আত্ম ক্ষমতার প্রতি দৃঢ় আস্থাবান ও প্রখর ՀԳ8