পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষার প্রণালী কাল পাস করণ ও শিথিলতা-উৎপাদন শিক্ষা করা হইলে, উহাদিগকে অীর নিয়মিতরূপে অভ্যাস করার আবশ্যকতা নাই ; কিন্তু যতদিন কোন বস্তুর প্রতি সে ১৫ বা ২ মিনিট কাল বিনা ক্লেশে স্থির দৃষ্টিতে তাকাইয়৷ থাকিতে না পরিবে, ততদিন প্রত্যহ নিয়মিতরূপে উহা অভ্যাস করিবে । নির্জন গৃহে বা মাঠে আদেশ দেওয়া শিক্ষা করিবে। কোন ব্যক্তি সম্মুখে দাড়াইয়া আছে, এরূপ কল্পনা করিয়া এই কল্পিত মূৰ্ত্তির প্রতি দৃঢ় ও বিশ্বাসোদ্দীপক স্বরে এরূপ আদেশ দিবে—“তোমার হাত অত্যন্ত দৃঢ়ৰূপে জুড়িয়া গিয়াছে,” “তোমার চোখ খুব কঠিন রূপে বন্ধ হইয়া গিয়াছে,” “তুমি আর চলতে পাচ্ছ না,” “তুমি কখনও পীর না,” “কিছুতেই পাচ্ছ না” ইত্যাদি। যখন লোকের সহিত বিষয়-কৰ্ম্মের আলাপ করিবে, তখনও অভীষ্ট সিদ্ধির সহায়ক শব্দগুলির উপর বিশেষ জোর দিয়া কথা বলিবে । কিছুদিন এইরূপ অভ্যাস করিলেই সে ধীর, গম্ভীর ও আদেশস্থচক স্বরে কথা বলিতে সমর্থ হইবে । অনেকের ধারণা যে, মনঃ শক্তি বৃদ্ধি না করিয়া কাহাকেও শারীরিক পরীক্ষায় অভিভূত করা যায় না ; তাহা ভুল। কারণ মানুষ মাত্রেরই অল্পধিক পরিমাণে স্বভাব-দত্ত সম্মোহন শক্তি আছে, যাহা নির্দিষ্ট প্রণালীতে প্রয়োগ করিতে পারিলে সামান্ত চেষ্টাতেই এই সহজ শারীরিক পরীক্ষাগুলি সম্পাদন করা যায়। সুতরাং সে চক্ষের অনুশীলন, হাতবুলান, ইত্যাদি শিক্ষার সঙ্গে প্রতিদিন নিয়মিতরূপে বালক ও যুবকদের উপর শারীরিক পরীক্ষাগুলি সম্পাদনের প্রয়াস পাইবে । যে সকল শিক্ষার্থ লোক সংগ্ৰহ করিতে পারবে, তাহারা প্রত্যহ ২৩টি নূতন লোক WX