পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা উহাদিগকে আর খুলিতে পারিবন,—আমার হাত দুইখানা খুব দৃঢ়ৰূপে আঁটিয়া যাইতেছে এবং আমি কিছুতেই উহাদিগকে ফঁাক করিয়া খুলিতে পারিবনা-আমার হাত দুইখানা খুব কঠিন—আরও কঠিনরূপে জোড়া লাগিয়া যাইতেছে—আমি কখনও খুলিতে পারিবন । আমি হাত খুলিতে যতই চেষ্টা করিব, উহারা ততই দৃঢ় ও কঠিনরূপে জোড়া লাগিয়া থাকিবে।” যখন সে উক্তরূপ চিন্তা করিতে আরম্ভ করিয়াছে, তখন কাৰ্য্যকারক তাহার নাসিক-মুলে খুব স্থির ও প্রখর দৃষ্টি স্থাপন পূৰ্ব্বক, উভয় হাত দ্বারা ঐ মুষ্টিবদ্ধ হাত দুইখানার চারি পাশ্বে পাস করিতে আরম্ভ করিবে, অর্থাৎ সেই মুঠটিকে তাহার হাত দ্বারা আস্তে আস্তে বুলাইয়া দিতে সুরু করিবে এবং তৎসঙ্গে নিম্নোক্তরূপ চিন্তা করিবে—“তোমার হাত ছুইখানা খুব দৃঢ়ৰূপে জোড়া লাগিয়া যাইতেছে এবং তুমি কিছুতেই তোমার হাত খুলিতে পারিবেন । আমি যতক্ষণ তোমার হাত খুলিতে আদেশ না করিব, ততক্ষণ তুমি কিছুতেই তোমার হাত খুলিতে পরিবেন-হাজার চেষ্টা করিয়াও পরিবেন!—প্রাণপণ চেষ্টা করিয়াও পরিবেন ।” কাৰ্য্যকারক মিনিট দুই এইরূপ চিন্তা করার পর, একাগ্রতার সহিত ধীর, গম্ভীর ও আদেশস্থচক স্বরে বলিবে—“তোমার হাত ছুইখানা একত্রে জোড়া লাগিয়া যাইতেছে—তুমি কখনও তোমার হাত দুইথান টানিয়া খুলিতে পারবেন—উহার ক্রমেই দৃঢ়ৰূপে জোড়া লাগিয়া যাইতেছে এবং তুমি কখনও খুলিতে পরিবেন ; যতক্ষণ আমি তোমাকে হাত খুলিতে না বলিব, ততক্ষণতোমারহাভকিছুতেই খুলিবে না-কখনওখুলিবে না।” তিন-চার বার এইরূপ আদেশ দেওয়ার পর, যখন তাহার মন আরও e