পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্মোহন বিদ্যা (৪) যে সকল ব্যক্তি স্বভাবতঃ চঞ্চল চিত্ত, ভীরু স্বভাব, অমুসন্ধিৎসু * অথবা যাহারা সম্মোহনবিতকে ঠকাইবার অভিপ্রায়ে শক্তির গতি রোধ করিতে আগ্রহাম্বিত, শিক্ষার প্রারম্ভে, তাহাদিগকে কখনও পাত্র মনোনীত করিবে না । যদি কাৰ্য্যকারক পরীক্ষার জন্য অপর লোক সংগ্ৰহ করিতে পারে তবে, প্রথম প্রথম তাহার আত্মীয়-বন্ধুদিগের উপরও চেষ্টা করিবেন ; কারণ তাহারা তাঁহাকে শিক্ষানবীস ভাবিয়া ঠাট্টা-তামাস দ্বারা তাহার চেষ্টা বিফল করিয়া দিতে পারে। যে সকল লোকের সহিত তাহার বিশেষ ভাব নাই, বা যাহারা তাহার অপরিচিত, তাহারা তাহার শক্তির প্রতি সহজে আস্থাবান হইবে ও বহুত সহকারে নিয়ম-প্রণালীগুলি অনুসরণ করিবে। এজন্য সে অল্পায়াসেই তাহাদিগকে এই পরীক্ষাগুলিতে অভিভূত করিতে সমর্থ হইবে। (৫) কাৰ্য্যকারক আত্ম-বিশ্বাসী ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হইয়া উৎসাহের সহিত শান্ত ভাবে কাৰ্য্য করিবে । সে যে একজন শিক্ষানবীস তাঁহা সে পাত্রদিগের নিকট কখনও প্রকাশ করিবেন ; বরং এ বিষয়ে তাহার বেশ দক্ষতা আছে, সৰ্ব্বদা এরূপ ভাবই প্রকাশ করিবে । (৬) শিক্ষার্থী মোহিত পাত্রের প্রতি সৰ্ব্বদা সদয় ব্যবহার করিবে এবং তাহাঁকে কখনও কঠোর ভাবে বা অসাবধানে নাড়া-চাড়া করিবে না ; কিম্বা অপর কাহাকেও তাঁহা করিতে দিবে না। সে নিজে মোহিত

  • অনুসন্ধিৎসা প্রশংসনীয় মনোবৃত্তি হইলেও মোহিত হইবার সময় কেমন করিয়া হয় ? কি করিয়া হয় ?’ ইত্যাদি জানিবার জন্ত ব্যগ্র হইলে উহা একাগ্রতা নষ্ট করিয়া মোহিতাবস্থা উৎপাদনের বিস্তু জন্মাইয় থাকে। d

والتي