পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-পরিদর্শন। S&S অতঃপর মধ্যভারতের রাজন্যবৃন্দ দেখা দিলেন। তাহদের অগ্ৰে ছিলেন মধ্যভারতের লাটপ্রতিনিধি অনারেবল মিঃ এম এফ, ওডুইয়ার মহোদয় । সিন্ধিয়ার মহারাজ সম্রাটের পরিকর।স্বরূপে নিযুক্ত থাকায়, প্ৰথম অভিবাদন করিলেন ইন্দোরের তরুণবয়স্ক হােলকার বাহাদুর। র্তাহার পরে ভুপালের বেগম কৃষ্ণাভনীল পরিচ্ছদে আপাদমস্তক আবৃত হইয়া ধীরে ধীরে অগ্রসর হইলেন। তাহার শিরোভূষণে অনেক মণিমুক্তার সমাবেশ ছিল এবং তিনি “ভারতনক্ষত্ৰ” চিহ্ন বরাঙ্গে ধারণ করিয়াছিলেন । রাজন্যবগের মধ্যে একা তিনিই স্ত্রীলোক ছিলেন। তঁহার পরে রেওয়া, ধর প্রভৃতির অধিপতিবৃন্দ যথাক্রমে অভিবাদনপূর্বক নিজ নিজ আসন গ্ৰহণ করিলেন। এই দলের পর বেলুচিস্থানের নরপতিবৃন্দ অগ্রসর হইলেন। বড়লাট বাহাদুরের প্রতিনিধি অনারেবল লেফটেন্যাণ্ট কৰ্ণেল জে, র্যামসে ইহাদের অগ্রে ছিলেন। প্ৰথমে কালাতের খান ও পরে লাসিবেলার জাম সাহেব সেলাম করিলেন । অতঃপর ভুটান এবং সিকিমের রাজদ্বয়ের পালা । এইবার একটু বিশেষত্ব ছিল। ভুটানের মহারাজা প্ৰথমে একবার সেলাম করিয়া পরে সিংহাসনের সিঁড়ির নিম্নে আসিয়া একখণ্ড শ্বেত রেশমী বস্ত্ৰ উপহারস্বরূপ সম্রাটের চারণপ্রান্তে রাখিলেন। তারপরে টুপি খুলিয়া , আবার সেলাম করিয়া সম্রাজ্ঞীর সম্মুখে গেলেন । সেখানেও পূর্ববৎ আচরণ করিয়া স্থানত্যাগ করিলেন। সিকিম রাজও তাঁহাই করিলেন, তবে সিংহাসনের সম্মুখে আসার পূর্বে সেলাম না করিয়া পরে অভিবাদন করিলেন, কারণ র্তাহার দেশের সেই প্ৰথা। এই সেলামঘটিতব্যাপারে যথেষ্ট রাজভক্তি ও আনুগত্য প্ৰকাশ পাইয়াছে। কারণ বািন্ত্রখণ্ড সম্বন্ধে এই দুই দেশে নিয়ম এই যে উহা কাহারও গলায় দিলে গৃহীতার অধীনতা প্ৰকাশ পায়, কিন্তু হাতে দিলে সমভাবে বন্ধুতা, ও পায়ের কাছে রাখিলে দাতার বশ্যতা জ্ঞাপন করে। ভারতগাবৰ্ণমেণ্টের সহিত যাহারা সাক্ষাৎ রূপে সম্বন্ধবদ্ধ, ভঁহাদের রাজসম্বৰ্দ্ধনা এইরূপে 'শেষ হইল। তারপর ভূগোল বঙ্গদেশের হাইকোর্টের জজগণ অগ্রসর হইলেন। প্ৰধান বিচারপতি মহোদয় ইহাদের অগ্ৰে ছিলেন। কৃত্রিম কেশগুচ্ছ ও রক্তবর্ণ বস্ত্ৰ পরিহিত বিচারপতিগণ একে একে y V ब्राख्छछबर्ग । বেলুচিস্থান, ভুটান প্রভৃতি।