পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 ভারত-পরিদর্শন । ইতিমধ্যে বিরাট হিন্দু মিছিল চাঁদনি চক হইতে আরম্ভ করিয়া একেবারে যমুনাতীরে ধূমধাম করিয়া উপস্থিত হইল। মিছিল যে স্থানে থাকিল সেই স্থানেই না কি পুরাকালে ধৰ্ম্মপুত্ৰ যুধিষ্ঠির অশ্বমেধ যজ্ঞ সমাধা করিয়াছিলেন । এইখানে দ্বার:বঙ্গাধিপ। এবং “সনাতন ধৰ্ম্ম মহামণ্ডলের” নেতৃত্বে মাঙ্গলিক কাৰ্য্য করা হইল। জৈন এবং আৰ্য্যসমাজের লোকগণ এই দলে যোগদান করিলেও তাহারা স্বতন্ত্ররূপে মাঙ্গলিক কাৰ্য্য করিয়াছিলেন । যাইবার সময় মহান্তগণ হাতী ও গাড়ীতে চড়িয়া অগ্ৰে অগ্রে এবং সাধুগণ আশীষ গীতি গাহিতে গাহিতে পশ্চাতে যাইতেছিলেন । বেদপাঠী এবং পণ্ডিতগণ শাস্ত্ৰোচ্চারণপূর্বক এবং অপরাপর সকলে এতদুপলক্ষে রচিত সঙ্গীতধ্বনি করিতে করিতে মিছিলের সঙ্গে গিয়াছিলেন । মিছিলের সঙ্গে দুইটি বড় রথে করিয়া ধৰ্ম্মশাস্ত্রগুলিকেও লওয়া হইয়াছিল । মুসলমানদিগের মিছিলও গুরুত্ব হিসাবে বিশেষ উল্লেখযোগ্য। প্ৰায় ত্ৰিশহাজার মুসলমান অতি প্ৰত্যুষে জুম্মা মসজিদে একযোগে ধৰ্ম্মকাৰ্য্যে ব্ৰতী হইয়াছিলেন । প্ৰসিদ্ধ প্রচারকগণ ধৰ্ম্ম ও রাজভক্তি সম্বন্ধে চিত্তাকর্ষক বক্তৃতা দিলে মসজিদের ইমাম ব্রিটিশরাজত্ব এবং সম্রাটুদম্পতীর মঙ্গলকামনায় এক মৰ্ম্মস্পর্শী প্রার্থনা করিলেন। জনসাধারণ সমস্বরে “সম্রাটুদম্পতী দীর্ঘজীবী হউন” চীৎকারে দিগন্ত প্ৰকম্পিত করিয়াছিল। পাঞ্জাবের ছোটলাট বাহাদুর প্রত্যেক মিছিলেই স্বয়ং উপস্থিত হইয়া তাঁহাদের শুভকার্ঘ্যে সহায় হইয়াছিলেন। তিনি মুসলমানদিগের অনুরোধে একটি ক্ষুদ্র বক্ততা করেন। তঁহার কথা শেষ হইলে সভাস্থ সকলে “আমিন’ “আমিন’ বলিয়া চীৎকার করিয়া উহা সমর্থন করেন । মুসলমান দলে প্ৰধান ব্যক্তিবৃন্দমধ্যে হিস হাইনেস খয়েরপুরের মীর, মালিক উমর হায়াৎ খান, নবাব ফাতে আলিখন, কাজিলবাস ও ফকির সৈয়দ ইফতিখর উদ্দিন, হবাজিক-উল-মুলক হাকিম আজমলখান, নবাব বাহারামখান প্ৰভৃতি ছিলেন। এই বিচিত্ৰ মিছিলরাশির স্রোতঃ যখন নানাস্থান হইতে প্ৰবাহিত হইয়া এক কেন্দ্রে সম্মিলিত হইল তখন এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হইল। দুৰ্গসম্মুখে বালুকাময় বিশাল প্রান্তর। কিছু পূর্বে এই স্থানটি যমুনার গর্ভোখিত অস্বাস্থ্যকর একটা চড়ার মত ছিল, স্যার লুই ডেনের উদ্যমে এই ff酸可1