পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-পরিদর্শন । R-y প্ৰথম বর্ষে আমাদের রাজকীয় ঘোষণা পত্র দ্বারা প্ৰকাশ করিয়াছি যে সর্বশক্তিমানের আশীৰ্বাদে ১৯১১ সনের ২২শে জুন, আমরা, আমাদের রাজকীয় অভিষেকোৎসব সম্পাদন করিব ; এবং যেহেতু, আমাদের গভর্ণরগণ, লেফটেনাণ্ট গভর্ণরগণ, অন্যান্য কৰ্ম্মচারিগণ, রাজগণ, সামন্তগণ, আমাদের আশ্রিত করদ রাজ্য সমূহের সম্রান্ত ব্যক্তিগণ, এবং আমাদিগের ভারতসাম্রাজ্যের অন্তর্গত বিভিন্ন প্রদেশের প্রতিনিধিবর্গকে আমাদিগের সম্মুখে আহবান করিয়া প্রীতিভাজন ভারতীয় প্ৰজাগণকে, উক্ত উৎসব সুসম্পাদিত হইয়াছে, একথা আমাদিগের স্বয়ং জ্ঞাপন করা আবশ্যক ; সেই জন্য এখন আমরা আমাদিগের এই রাজকীয় ঘোষণা পত্ৰদ্বারা জ্ঞাপন করিতেছি যে, আগামী ১৯১১ সনের ১২ই ডিসেম্বর দিল্লীতে দরবার করিতে মনস্থ করিয়াছি । অভিষেকোৎসবের কথা জ্ঞাপন করাই ইহার উদ্দেশ্য। আমরা এতদ্বারা ভারতবর্ষে আমাদের রাজকীয় প্ৰতিনিধি ও গভর্ণর জেনেরাল-আমাদের অতি-বিশ্বাসী এবং অতিপ্ৰিয় মন্ত্রণাদাতা চার্লস ব্যারন পেন্সহার্সটের হার্ডিঞ্জকে উল্লিখিত ব্যাপারের সমস্ত বন্দোবস্ত করিবার डांद्र डिछेि ५eीव९ डांge कब्रिgडछि । ১৯১১ সনের ২২শে মার্চ, আমাদিগের রাজত্বের প্রথম বর্ষে, বাকিংহাম প্ৰাসাদস্থ রাজসভা হইতে ঘোষণা পত্ৰটী প্ৰকাশিত করা হইল।” রাজকীয় ঘোষণা-পত্ৰটী দেশব্যাপী যে আনন্দ ও উৎসাহের সৃষ্টি করিল। তাহা বৰ্ণনাতীত। ভারতীয় সংবাদপত্ৰ সমূহের আর মতদ্বৈধ রহিল না। সাধারণ আনন্দের এই মহোৎসবে তাহারা সম্মিলিত কণ্ঠে যোগদান করিল। ভারতবর্ষের আত্মমৰ্য্যাদাবোধ চরিতার্থতা লাভ করিল। ভারতেশ্বর দ্বিতীয়বার ভারতবাসীকে দর্শনদান করিবেন। এই ব্যাপারে ব্রিটীশ সাম্রাজ্যের অপরাপর প্রদেশ হইতে এদেশের প্রতি যে অধিকতর অনুগ্ৰহ প্ৰদৰ্শিত হইল। তাহা ভারতবাসীরা বিশেষ ভাবে উপলব্ধি করিল। অভিষেকোৎসবের অব্যবহিত পরেই সম্রাট ভারতে পদার্পণ করিবেন, এই ংবাদে ভারতবাসী আনন্দে আত্মহারা হইল। অল্পকাল মধ্যে এই শুভসংবাদ গ্ৰাম হইতে গ্ৰামান্তরে প্রচারিত হইল এবং নিতান্ত সামান্য লোকও যেন এক অলৌকিক সুখস্বপ্নে বিভোর হইল। ভারতবাসীর বহুদিনের আকাঙক্ষণ পূর্ণ হইল। বহুদিন পরে রাজদর্শন তাহাদের ভাগ্যে ঘটিবে, ইহা হইতে ঘোষণা পত্রের ফলে मनोन नन् ।