SS ভারত-পরিদর্শন । পটাবাসের মত করা হইয়াছিল । ইহার গম্বুজ ও স্বর্ণচূড়াগুলি নয়নাভিরাম হইয়াছিল। দুইশত পাঁচিশ ফিটু ব্যবধানে আর একটি ছোট বস্ত্ৰাবাস ছিল। তাহার চতুর্দিকে ব্রিটিশসাম্রাজ্যের চিরপরিচিতচিহ্ন শ্বেতপতাকাসমূহ, মনোমুগ্ধকর চন্দ্ৰাতপ এবং উদ্ধে রাজমুকুটচিহ্ন বিরাজিত ছিল । এই বস্ত্রাবাসেই সিংহাসন স্থাপিত করা হইয়াছিল। সিংহাসনের সম্মুখভাগে তিনসহস্ৰ ব্যক্তির জন্য গোলাকৃতি প্ৰকাণ্ড উপবেশনমঞ্চ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। উহা দুইশত চল্লিশফিটু বিস্তৃত, ৩৩টীি মঞ্চে বিভক্ত এবং ২৪ ফিটু উচ্চ করা হইয়াছিল। এই বিশাল উপবেশনমঞ্চটী শ্বেত ও স্বর্ণবর্ণে অনুরঞ্জিত ছিল এবং সবুজাভ বর্ণের বস্ত্ৰে উপবেশনের স্থান ও পথ মণ্ডিত হইয়াছিল। পটমণ্ডপ দুইটী ইস্রামীয় রীতিতে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল ও রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত করা হইয়াছিল। পথের দুই পার্থে ইস্রামীয় রীতিতে নিৰ্ম্মিত স্তম্ভসমূহের উপর গিল্টিকরা সিংহমূৰ্ত্তিসমূহ ছিল এবং পথটির উপরে রক্তবর্ণ গালিচা বিস্তৃত করাতে অতীব সুন্দর দেখাইতে ছিল। বস্ত্রাবাসের সিংহাসনদ্বয় অতি চমৎকার কারুকাৰ্য্যভূষিত হইয়াছিল। বোম্বাই গভর্ণমেণ্টের প্রধান শিল্পী ( আর্কিটেক্ট) মিঃ উইটেটু ইহাদের নিৰ্ম্মাণের ভার পাইয়াছিলেন। সিংহাসন দুইটা ৯ ফিটু উচ্চ ও তাহদের কেন্দ্ৰস্থলে ব্রিটিশ অস্ত্ৰচিহ্ন অঙ্কিত ছিল। স্বর্ণসূত্রে সুরাটের কারিগর কর্তৃক রচিত বিচিত্র বস্ত্রে উহা মণ্ডিত ছিল। যদি ও প্রধান পট্টবাসটা শুধু রাজসংবৰ্দ্ধনার জন্য বিরচিত হইয়াছিল, তথাপি সুখের বিষয় এই যে বোম্বাইসাহরাবাসিগণ গভৰ্ণমেণ্টের সঙ্গে একযোগ হইয়া স্থির করিয়াছিলেন যে এই শুভব্যাপারটী চিরস্মরণীয় করিবার জন্য পট্টবাসটা স্থায়িভাবে নিৰ্ম্মিত হইবে। এদিকে বেলা ক্ৰমেই বাড়িতে লাগিল । সঙ্গে সঙ্গে অসহনীয় গরম পড়িল। বৈকাল বেলা ৩টার সময় কয়েকট ক্ষুদ্র মেঘখণ্ড দেখিয়া অবশ্য সকলেই কিছু আশ্বস্ত হইলেন । সাড়ে তিনটার সময় গভর্ণর বন্দরে আসিলেন। ৪টা বাজিবার কিছু পূর্বে বড়লাটবাহাদুর ‘মেদিনা’ হইতে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। বোম্বাইর লাটবাহাদুর এবং প্ৰাদেশিক উচ্চরাজকৰ্ম্মচারিগণ বন্দরে সম্রাটু-দম্পতীর অভ্যর্থনার জন্য প্ৰস্তুত রহিলেন। ৪টা বাজিতে ১৫ মিনিট বাকি থাকিতে সেই 耳s命碍可不5颈41 विभांव सनडांद्र भcथा अख्निव ঔৎসুক্য দেখা গেল, কারণ এই সময়েই সম্রাটু-দম্পতীর “মেদিন’ পরিত্যাগ করিবার কথা ।
