甲心 ভারত-পরিদর্শন । করিয়া সুদীর্ঘ ট্ৰেণ খানি দেখা দিল। নগরপ্রাচীর মধ্যে টেন প্ৰবেশ করা মাত্র সম্রাটু ব্যগ্ৰভাবে প্লাটফরমে নামিয়া সৈন্যগণের অভিবাদন গ্ৰহণ করিলেন । বেলা ১০টার সময় দিল্লীদুর্গের সুবৃহৎ তোরণের উপর ব্রিটিশ পতাকা উত্থিত হইল-এবং সম্রাটের শুভাগমনসূচক ১০১ বার কামান দাগ হইল ;--তখন সত্যসত্যই আমাদের রাজচক্ৰবৰ্ত্তী দিল্লীতে উপস্থিত হইয়াছেন, এই আনন্দের সংবাদে সমস্ত নগর অভূতপূর্ব উত্তেজনা অনুভব করিল। ১০১ বার কামান দাগ হইয়াছিল ; ৩৪, ৩৩ এবং ৩৪ এই তিনবারে ১০.১ সংখ্যার বিভাগ করা হইয়াছিল। প্ৰত্যেক বিরাম সময়ে দশ মাইল ব্যাপিয়া সজ্জিত সৈন্যগণ যুগপৎ বন্দুক ছুড়িয়াছিল। এই উপলক্ষে দুর্গের অভ্যন্তর দৃশ্য বড়ই চমৎকার হইয়াছিল। সম্মুখ ভাগে ছয়শত ফিট লম্বা রক্তপ্ৰস্তরের প্ল্যাটফরম গঠিত করিয়া তন্মধ্যেভাগে রক্তাভপীতবর্ণ একটি মনোরম বস্ত্ৰাবাস উখিত করা হইয়াছিল। ইহার ভিতরে বহুমূল্য কার্পেটের উপরে দুইটি স্বর্ণসিংহাসন ছিল। অদূরে সাজাহানের দৃঢ়সংস্থিত, গৌরবব্যঞ্জক লৌহপ্ৰিাচীর সূৰ্য্যোদয়ের প্রাক্কালিক কুয়াসার সঙ্গে যেন মিশিয়া গিয়াছিল। রেলষ্টেশনে উচ্চকৰ্ম্মচারিগণসহ বড়লাটবাহাদুর উপস্থিত ছিলেন। সোপানের দুই পার্শ্বে সৈন্যগণ অশ্ব হইতে নামিয়া বর্শােহস্তে সারিবদ্ধ হইয়া দাঁড়াইয়াছিল। তাহার কিয়ৎদূরে দুইজন উচ্চপদস্থ যুরোপীয় সশস্ত্র সৈনিক স্থিরভাবে দণ্ডায়মান ছিল ৷ ইহারা সম্রাটের বিশেষ নিয়োগে এই ভার গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। গ্রেট ব্রিটন ব্যতীত তাহারা অপর কোথাও এরূপ কাৰ্য্য করেন নাই । সোপানের নিম্নভাগে রক্তবাসপরিহিত ১২৮ নং পাইওনিয়র সৈন্যদল শ্রেণীবদ্ধভাবে সজ্জিত হইয়াছিল। দিল্লীর সমগ্ৰ সৈন্যের মধ্যে প্ৰত্যেক দল হইতে দুইজন করিয়া সৈন্য লইয়া একটি বিশেষ শ্রেণী গঠিত হইয়াছিল, তাহারাও সেই স্থানে অপেক্ষা করিতেছিল। তৎপরে রয়াল বার্কসায়েরের সৈন্যগণ এবং নানা পরিচ্ছদধারী বিভিন্ন রেজিমেণ্টের অশ্বারোহী এবং নানা পদাতিক সৈন্যের পংক্তি গঠিত হইয়াছিল । যাহারা স্বীয় স্বীয় কৰ্ত্তব্য আজীবন উৎকৃষ্টভাবে সমাধান করিয়া যশস্বী হইয়াছিলেন, য়ুরোপীয় ও ভারতবর্ষের সেইরূপ প্ৰবীণ সৈন্যগণ সম্রাটু কর্তৃক বিশেষভাবে সন্মানিত হইয়া বামদিকে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া অপেক্ষা করিতেছিলেন। দক্ষিণ tastig fiħ elpa অভ্যর্থনা ৷
