পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ প্রবন্ধ । ు ది సి প্রকাশিত হয়, সেইরূপ যে ঈশ্বর প্রলয়কালে হিরণ্যগর্ভ ও বিরাটকে অব্যক্ত প্রকৃতি ভাবে আপনার মধ্যে বিলীন করেন এবং প্রলয়াবসানে অব্যক্ত প্রকৃতি হইতে পুনরায় হিরণ্যগর্ভ ও বিরাটভাব প্রকাশ করেন, সেই ঈশ্বরই সঙ্কর্ষণ। সৰ্ব্ব প্রকার উপাধি বিনির্মুক্ত সৰ্ব্বজ্ঞ নিগুণ ভাবই আত্মার তুরীয় ভাব। বাসুদেবই সেই তুরীয় ভাব। হস্তপদাদি অঙ্গ, গরুড়াদি উপাঙ্গ, সুদর্শনাদি অস্ত্র এবং কৌস্তুভাদি আভরণধারী ভগবান, হরিই প্রাণ ও শরীরধারী, বিরাটপুরুষ, বিজ্ঞান ও মনোময় হিরণ্যগৰ্ভ, প্রকৃতির অধিষ্ঠাতা ঈশ্বর এবং নিগুণ ব্ৰহ্ম এই চারিভাবে প্রকাশিত হন। হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ ! সেই ভগবান ঈশ্বর হরি হইতেই বেদসকল উদ্ভূত হইয়াছে, তাহার কোনপ্রকার ইন্দ্রিয় না থাকিলেও তিনি সমস্ত ইন্দ্রিয়ুশক্তি সম্পন্ন। তিনি আপন মহিমাতেই আপনি প্রতিষ্ঠিত, তাহার অন্ত প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন নাই। তিনি কেবলমাত্র মায়া বিস্তারের স্থায় অন্ত কোন উপকরণ না লইয়া আপন সঙ্কল্পমাত্র দ্বারা এই জগতের স্বষ্টি স্থিতি লয় করিতেছেন। তাহার পুর্ণজ্ঞান কথন আবৃত্ত হয় না। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়, কিন্তু সাধকগণের অধিকার ভেদ হেতু শাস্ত্র তাহাকে নানা ভাবে প্রকাশ করিয়াছেন। কেবল শ্রেষ্ঠ সাধকেরাই তাহাকে আপনাদের আত্মা বলিয়া জানিতে পারেন । আচার প্রবন্ধকার বলিয়াছেন— “প্রথমতঃ দেখা যায় যে বিষ্ণু শ্যামবর্ণ। মেঘশূন্ত আকাশের বর্ণও শ্যাম। এবং শ্যামবর্ণটী সকল বর্ণের অপেক্ষা প্রাণী এবং উদ্ভিদদিগের শরীর পোষণে অধিকতর কার্য্যকরী। তদ্ভিন্ন, মেঘ ও স্বৰ্য্যকে ধারণ করত আকাশ সৰ্ব্বদা বিশ্বপালন কাৰ্য্যে নিরত। দ্বিতীয়তঃ, বিষ্ণুর চারিহস্ত। তাহার এক হস্তে শঙ্খ,অন্ত হস্তে চক্র,অপর হস্তে গদা,এবং চতুর্থ হন্তে পদ্ম। অর্থাৎ বিষ্ণুদেবতা ঐ চারিট দ্রব্য ধারণ করিয়া থাকেন। তিনি উহাদিগের আধার এবং উহারা তাহার আধেয়। এখন দেখা যাউক ঐ গুলি কি ? শঙ্খ বস্তুটা শব্দের স্তোতক এবং শব্দ আকাশের গুণ (১) অতএব শখ (১) শক-শব্দগুপ্ৰমাকাশং -