>○8 সরল বেদান্ত দর্শন । বিষয় শ্রবণ কর। অভ্যাসবশতঃ যাহাতে মনুষ্য আনন্দপ্রাপ্ত হয়, যাহাঙে ত্ৰিবিধ দুঃখের অত্যন্তনিবৃত্তি হয়, অভ্যাস বৈরাগ্য যমনিয়মাদি সাধনাপ্রাপ্য বলিয়া যাহা প্রথমে বিষের ন্তায় দুঃখাত্মক বলিয়া বোধ হয় এবং উক্ত সাধনাদি দ্বারা আত্মজ্ঞান লাভ হইলে পর যাহা অমৃতের ন্তায় তৃপ্তিকর বলিয়া বোধ হয় সেই মুখকে সাত্ত্বিক মুখ বলে। বিষয় ও ইঞ্জিয়ের সংযোগে সমুৎপন্ন যে মুখ প্রথমে অমৃতের ন্যায় তৃপ্তিকর বলিয়া বোধ হয় কিন্তু পরিণামে যাহা বিষের দ্যায় কষ্টকর তাহাকে রাজস সুখ বলে। নিদ্রা আলস্য ও প্রমাদ হইতে সমুদ্ভূত আদি মধ্য ও অন্তে আত্মমোহকর মুখকে তামস সুখ বলে । যাহ বিষয়ে সম্পূর্ণ ভাষে আসক্তি শূন্ত হইলে তবে আত্মজ্ঞানের মুখ জানা যায় । আত্মজ্ঞানের মুখ জানিতে পারিলে সাধক অন্ত সমস্ত মুখের ইচ্ছা পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক অনন্তমনে ব্রহ্মধ্যানকরত ব্রহ্মে সমাহিতান্তঃকরণ হন এবং অক্ষয় মুখ ভোগ করেন। ইন্দ্রিয়গণ দ্বারা বিষয় সকল ভোগ করিলে যে মুখ বোধ হয় তাহা অাদ্যস্তবিশিষ্ট অতএব ক্ষণস্থায়ী এবং তাহ আপাত মধুর হইলেও পরিণামে দুঃখজনক। বিবেকীপুরুষ ঐ প্রকার ভোগে রত হন না । মরণ কাল পর্য্যন্ত যে ব্যক্তি ইহলোকে কামক্ৰোধোদ্ভব বেগ সহ করিতে সক্ষম হন তিনিই যোগী এবং তিনিই বাস্তবিক সুখী । যে যোগী বাহ বিষয়ে মৃথশূন্ত হইয়। কেবল মাত্র আত্মাতেই মুখ এবং আরাম ভোগ করেন এবং যাহার দৃষ্টি সৰ্ব্বদা আত্মদর্শনে রত তিনি ইহজীবনে সৰ্ব্বদুঃখবিমুক্ত হইয়া জীবন্মুক্ত অবস্থায় থাকেন এবং দেহত্যাগের পর বিদেহমুক্তি বা ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণ প্রাপ্ত হন। যোগী ব্যক্তি নির্জন স্থানে একাকী থাকিয়া চিত্ত এবং দেহকে সংষত রাখিয়া অপ্রাপ্তবস্তুয় আকাঙ্ক্ষা ও প্রাপ্তবস্তুতে মমত্ব পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক ব্ৰহ্মধ্যানে রত হইবেন। তিনি পবিত্র স্থানে প্রথমে কুশ তদুপরি ব্যাঘ্ৰাদি চৰ্ম্ম এবং তদুপরি বস্ত্র আতৃত করিয়া অনতি উচ্চ ও অনতি নীচ আসন এমন ভাবে প্রস্তুত
পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৪৬
অবয়ব