পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রবন্ধ । ২৭ র্তাহারা সকল পদার্থের তত্ত্ব সম্যকৃরূপে অবগত হন। কাৰ্য্যকারণরূপে প্রতিভাত ব্রহ্মের যথার্থ তত্ত্ব অবগত হইয়া যখন সাধকের “আমিই ব্ৰহ্ম” এইরূপ অপরোক্ষ জ্ঞান হয় তখন সাধকের সমস্ত বাসনাময় অবিদ্যা লোপ হয়। সকল পদার্থের তত্ত্ব বিদিত হওয়ায় আর র্তাহার কোন প্রকার সংশয় থাকে না । এবং ষে কৰ্ম্মফলের কার্য্য আরম্ভ হওয়ায় সাধক তখন জীবভাবে রহিয়াছেন সেই কৰ্ম্মফল ভিন্ন তাহার অন্ত সমস্ত কৰ্ম্মফল বিনষ্ট হয়। উক্ত প্রবৃত্ত-কৰ্ম্মফল যতক্ষণ না ভোগদ্বারা ক্ষয় হয় ততক্ষণ তিনি জীবন্মুক্তভাবে থাকেন। অপ্রবৃত্ত-কৰ্ম্মফল ব্রহ্মজ্ঞানদ্বারা বিনষ্ট হওয়ায় এবং জীবন্মুক্ত অবস্থায় নূতন কৰ্ম্মফল উৎপন্ন না হওয়ায় প্রবৃত্ত-কৰ্ম্মফল ভোগদ্বারা ক্ষয় হইবামাত্র তিনি বিদেহমুক্ত হন । ব্রহ্মের সহিত র্তাহার আর কোন” প্রকার পার্থক্য থাকে না । কোন প্রকার সাধক পরা বিদ্যার অধিকারী হইয়া এই প্রকার মুক্তি প্রাপ্ত হন এক্ষণে সেই বিষয় বলা হইতেছে। কেবল মাত্র শাস্ত্রপাঠ অথবা শাস্ত্রার্থ ধারণাশক্তি অথবা গুরূপদেশ দ্বারা “আমিই ব্রহ্ম” এইরূপ অপরোক্ষ জ্ঞান হয় না। ভক্তি এবং উপাসনা দ্বারা প্রসন্ন হইয়া ব্ৰহ্ম র্যাহাকে অনুগ্রহ করেন কেবল সেই সাধকই ব্ৰহ্মকে আপন আত্মা বলিয়া জানিতে পারেন এবং কেবল র্তাহার বুদ্ধিতেই আত্মতত্ত্ব সম্যকভাবে প্রকাশিত হয়। শারীরিক এবং মানসিক বলশূন্ত, অজ্ঞানাচ্ছন্ন ও অশাস্ত্রীয়ভাবে তপস্যাকারী ব্যক্তির বুদ্ধিতে আত্মতত্ত্ব প্রকাশিত হয় না। র্যাহার শরীর ও মন সুস্থ এবং বলশালী, শাস্ত্রালোচনা ও গুরূপদেশ দ্বারা যাহার অনাত্ম পদার্থে বৈরাগ্য এবং আত্ম পদার্থে ভক্তি জন্মিয়াছে এবং বেদান্তশাস্ত্রোক্ত মার্গ অবলম্বন পূৰ্ব্বক ব্রহ্মের অপরোক্ষ জ্ঞান লাভার্থ যিনি কায়মনোবাক্যে তপস্যা করেন, কেবল মাত্র বলে। ইষ্ট দর্শনাদিজনিত সুখবিশিষ্ট সত্ত্বই আননাময় কোষ বা কারণ শরীর। উল্লিখিত পাচট কোষের মধ্যে যথন যেটর সহিত আত্মার অভেদাত্মক ভ্রম জন্মে তখন আত্মা তৎকোবময় বলিয়া উক্ত হন। - বর্তমান সরল বেদান্তদর্শন গ্রন্থে সৰ্ব্বোপনিষৎসারোপনিষদ্ভুক্ত অর্থই গৃহীত श्रेङ्गो छ ।