\',\y সরল বেদন্তি দশন ৷ অবসান হইতে নুতন প্রলয়ারম্ভ পৰ্য্যন্ত সময়ে হিরণ্যগৰ্ভ ব্ৰহ্মার এক দিন। এবং চতুযুগ সহস্রে হিরণ্যগর্ভ ব্ৰহ্মার এক রাত্রি অর্থাৎ এক প্রলয়ের আরম্ভ হইতে সেই প্রলয়ের শেষ পর্য্যন্ত । সুতরাং অষ্টযুগ সহস্রে ছিরণ্যগর্ভ ব্রহ্মার এক অহোরাত্র। এই প্রকার অহোরাত্রের হিসাবে একশত বৎসর হিরণ্যগৰ্ভ ব্রহ্মার পরমায়ু। হিরণ্যগৰ্ভ ব্ৰহ্মার পরমায়ুর শেৰে মহাপ্রলয় আরম্ভ। হিরণ্যগৰ্ভ ব্রহ্মার পরমায়ুর পরিমাণ, প্রকৃতির স্থিতি কালঞ্চ । সুতরাং অতিশয় দীর্ঘকালব্যাপিনী বলিয়া প্রকৃতিকে ব্যবহারিক দৃষ্টিতে অনাদি অনন্তকাল ব্যাপিনী বলা যায়। ঈশ্বরের ইচ্ছায় কতকগুলি বিশেষ নিয়ম দ্বারা এই প্রকৃতি অন্তঃ ও বাহাজগৎরূপে ব্যক্ত ও চালিত হইয়া থাকে, আবার অব্যক্ত হইয়া বীজরুপে থাকে। এই জন্য ভগবান বলিতেছেন এই সমস্ত ভূতগণ প্রাকৃতিক নিয়মের বশীভূত। আমি সেই প্রাকৃতিক নিয়মগুলির নিয়ন্ত । সেই প্রাকৃতিক নিয়ম মতই এই সমস্ত ভূতগণ স্বল্প হইয় থাকে। আমার অধ্যক্ষতায় প্রকৃতিই এই চরাচর জগৎ প্রসব করে এবং প্রাকৃতিক নিয়মানুসারেই জগতের স্বষ্টি স্থিতি ও লয় হইয়া থাকে। হিরণ্যগর্ভদি স্তম্ব পর্য্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রে আমাকে ক্ষেত্ৰজ্ঞ অর্থাৎ সৎ চিদাত্মা বলিয়া জান। যেমন অগ্নির উত্তাপে লৌহখণ্ড অগ্নিমূৰ্ত্তি ধারণ করে, জীবের মন বুদ্ধি প্রভৃতি ও সেইরূপ আমার প্রভাবে চেতনের হায় দৃষ্ট হয় । আমার মত এই যে ক্ষেত্র ও ক্ষেত্রজ্ঞের জ্ঞানই সম্যক জ্ঞান। (৫) পঞ্চ মহাভূত অর্থাৎ ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ এবং ব্যোম, (১) অহঙ্কার অর্থাৎ আমি একজন পৃথক সত্ত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তি এই প্রকার মোহ, (১) বুদ্ধি, (১) অব্যক্ত অর্থাৎ অব্যক্ত প্রকৃতি অব্যক্ত প্রাণ এবং অব্যক্ত বিজ্ঞান, (১০) দশ ইন্দ্রিয়, অর্থাৎ পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় ও পঞ্চ কৰ্ম্মেন্দ্রিয়, (১) মননেন্দ্রিয় বা চিত্ত বা মন এবং (৫) পঞ্চ ইঞ্জিয়ের বিষয় গন্ধ, রস, রূপ,
- বাস্তলিক হিরণ্যগৰ্ভ একজন স্বতন্ত্র জীব বা দেবতা নহেন i সমস্ত জীবের মনোময় কোষের সমষ্টিয় নাম ছিয়ণ্যগর্ভ। উপাসনা এবং উপদেশের সৌকর্য্যাৰ্থ হিরণ্যগর্ভ ও
বিরাটপুরুষ কল্পিত হন (১৬ প্রবন্ধ দেখ)।