দ্বাদশ প্রবন্ধ । ግ© প্রকৃতির স্রষ্ট অধিষ্ঠাতা ও সংহারকর্তা ঈশ্বর । এবং আমিই সচ্চিদানন্দ অদ্বয় ব্ৰহ্ম । হস্ত পদাদি আমার নাই অথচ আমি সৰ্ব্বশক্তিমান । চক্ষু কর্ণাদি আমার নাই অথচ আমি সৰ্ব্বেন্দ্রিয়শক্তিসম্পন্ন। মন বুদ্ধি প্রভৃতি আমার নাই অথচ সমস্ত অন্তরিক্রিয়ের শক্তি আমাতে বিদ্যমান। আমি নিগুৰ্ণ আমাকে কেহ জানে না, আমি কিন্তু সৰ্ব্বদা সমস্ত জগৎকে জানিতেছি । বেদ সমুদয় আমারই তত্ত্ব প্রকাশ করে। উপনিষৎ সমূহ আমা হইতেই উদ্ভূত হইয়াছে। বেদের যথার্থ মৰ্ম্ম কেবল আমিই অবগত আছি। পাপ পুণ্য আমাকে স্পর্শ করিতে পারে না । আমার জন্ম নাই, আমার বিনাশ নাই,আমার দেহ নাই,আমার ইন্দ্রিয় নাই,এবং আমার বুদ্ধি নাই। আমি ভূমি নহি, আমি জল নহি, আমি অগ্নি নহি, আমি বায়ু নহি, আমি আকাশ নহি। এই পঞ্চভূতের মধ্যে দুই বা অধিক ভূতের মিশ্রণও অামাতে নাই । আমি স্বগত-স্বজাতীয়-বিজাতীয়-ভেদ-রহিত অদ্বয় আত্মা। এই সমস্ত জগৎ আমার কল্পনা প্রস্থত এবং আমার কল্পনা ভিন্ন ইহার পৃথক, অস্তিত্ব নাই । মায়াময়ী ব্যক্ত ও অব্যক্ত প্রকৃতি হইতে আমি সম্পূর্ণ পৃথক । এই ভাবে আত্মতত্বের অপরোক্ষানুভূতি হইলে সাধক অদ্বৈত ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণ প্রাপ্ত হন । বৃহদারণ্যকোপনিষৎ বলিয়াছেন— যখন সাধক অপরোক্ষভাবে জানিতে পারেন যে শরীর ইন্দ্রিয় মন ও বুদ্ধি হইতে পৃথক, নিগুণ আত্মাই আমি অঞ্জন আর তাহার কোন প্রকার ইচ্ছা বা কামনা থাকিতে পারে না । যে যে কারণে সাধারণ লোকের শরীর ইন্দ্রিয় মন ও বুদ্ধিতে সুখ দুঃখ উৎপন্ন হয় সেই সমস্ত কারণ ঘটিলেও তাহার পূর্ণানন্দের বিকার হয় না । אי অনেকানর্থ সঙ্কল, বিবেকজান প্রতিপক্ষ, অবিদ্যাময় সংসারে প্রৰিষ্ট জীবাত্মাকে নিগুণ ব্ৰহ্ম হইতে অভিন্ন বলিয়া' যখন সাধক অপরোক্ষভাবে দেখিতে পান তখন তিনি আপনাকে সৰ্ব্বাত্মা সৰ্ব্বকৰ্ত্ত সৰ্ব্বাধীর সর্বসাক্ষী অদ্বয় চিন্ময় বলিয়া জানিতে পারেন । Y e
পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৮৫
অবয়ব