পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প একদিন জিজ্ঞাসা করিল, ওরা আর তাস খেলতে আসে না কেন ? অভয় মুক্তির হাসি হাসিতে হাসিতে বলিল, অমন বিলাসিতা করবার সঙ্গতি আমার নেই। বকুল কহিল, এতদিনের অভ্যোস ! -অভ্যোস বলে তো সব-কিছু করা যায় না । পয়সা চাইচকচকে পয়সা । তাস চাই, আলো চাই, চা চাই, বিস্কুট চাই। পয়সা । দিয়ে তো অমন বন্ধুত্ব কিনতে পারি না বকুল। পয়সা কোথেকে আসে সে কথা কি কোনদিন চিন্তা করেছ একবার। কথা শেষে অভয় হা হা করিয়া তাহার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে হাসিতে লাগিল। বকুল বলিল, আমার বিয়ের পর তার এমনি করে যবনিকাপাত করলে আমায় লোকে দুষিবে, এটা জান তো ? --অর্থাৎ ? --অর্থাৎ, লোকে মনে করবে তাদের এ আনন্দ রুদ্ধ হয়েছে ९ांभांद्रशे वछ्य८ळु । অভয় আবার সেইরূপ সারা ঘরটি কঁপাইয়া হাসিতে লাগিল । তার পর বলিল, ও: ! দুষিবে তো তোমায় ? তা যত খুশি দোষ দিক । তুমি তো আর শুনতে যােচ্ছ না। তাতে আর কোন ক্ষতি নেই। দুই মাস অভয়ের সহিত ঘর করিয়া বকুল বেশ বুঝিয়াছিল যে তাহার স্বামীর হােতটানটা বেশই আছে। হাতের আঙলি নাকি তাহার ফাক হয় না। বিবাহের পর এই সুযোগে সে বন্ধু-বান্ধবকে ফাঁকি দিয়া বাসিল । সাবান স্নো কিনিয়া দিতে বলিলে সে হাসিয়া উড়াইয়া দিত, সেকালের দোহাই পাড়িয়া স্ত্রীকে আধুনিকতার বিশেষণে জর্জরিত করিতে কুষ্ঠিত হইত না । সেই হারানো যুগের সোনার দিনের বর্মে নিজেকে আবৃত করিয়া সে আত্মরক্ষা করিত। বকুলের মুখে আর কোন কথা সারিত না । আর তাহার বলিবারই বা কি থাকিত ? তখন তাহারা সবেমাত্র বিবাহ হইয়াছে। E SSr.