পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জওহরলাল ও গড় ভিড়ের মধ্যে দেখি একদল সংকীর্তন পার্টি চলিয়াছে, বোধ হয়। ভগবানকে অভ্যর্থনা করিবার জন্য । ভগবানকে অভ্যর্থনা করিবার জন্য সংকীর্তন পার্টি কি হইবে ? কারো গঙ্গাযাত্রার সময় সংকীর্তনের ব্যবস্থা করা হয় জানি, কিন্তু ভগবান যখন স্বয়ং হাওড়া স্টেশনে আসিয়াছেন, তখন এর অপেক্ষ ভালো ব্যবস্থা কি করা যাইত না ? অতি কষ্টে প্ল্যাটফর্মের ভিড় ঠেলিয়া সম্মুখভাগে আগাইবার চেষ্টা করিলাম । সঙ্গে সঙ্গে জওহরলালজির ট্রেন আসিয়া দাড়াইল । ইহার পর স্টেশন ভাঙ্গিয়া পড়ে আর কি, বহুবিধ স্লোগানের সমবেত উচ্চকণ্ঠের উচ্চারণে। সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফারের দল দেখিতে দেখিতে পণ্ডিতজিকে ঘিরিয়া ফেলিল। তারপর সেই বিরাট জনতা র্তাহাকে লইয়া পথে নামিল এই পৰ্যন্ত দেখিলাম-ইহার পর কি ঘটিল। না ঘটিল বলিতে পারিব না, কারণ আমি জওহরলালজির সে বিশাল শোভাযাত্রায় যোগদান করি নাই, ভগবানকে দেখিবার জন্য প্ল্যাটফর্মেই छिलांभ । प्रश्न 5क्रिीश! 6भन्न । প্ল্যাটফর্ম প্ৰায় খালি । সেই সংকীর্তন পাটি ছাড়া ভগবানকে অভ্যর্থনা করিবার জন্য কেহই উপস্থিত নাই গোটা প্ল্যাটফর্মে । একজন রোগা, গোফদাড়িকামানো লোক আমার কাছে আসিয়া বলিল-মশায়, আজি নাকি ভগবান আসচেন ? -এই রকমই তো কাগজে লিখেচে । , -কোন প্ল্যাটফর্মে জানেন ? -পাঞ্জাব মেলে তো আসছেন । এনকোয়ারি অফিসে একবার জিজ্ঞেস করে আসুন না ? - উঃ মশাই, যা ভিড়ের কাণ্ড ! কি কষ্টে যে হাওড়া পুলটুকু (t y