পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মূলো-র্যাডিশ-হার্স র্যাডিশ লাগিল। মুলোর এতটুকু ইচ্চাও যেন মিস সোরাবাজি তখনই পূর্ণ করিতে ব্যগ্ৰ । অতিথির প্রতি যতটুকু কর্তব্য করা উচিত শেষ করিখা মেয়েটি মূলোকে লইয়া সব সময় ব্যস্ত রহিল। চা-পার্ট হইতে ফিরিবার পথে মুলো কি আমাদের ছাড়ে-সঙ্গে সঙ্গে আসিল ! কিন্তু তাহার ষা স্বভাব-মিস সোরাবাজি সম্বন্ধে একবারও একটি কথাও বলিল না ; চা-পার্টির কথাই যেন তাতার মন হইতে মুছিয়া গিয়াছে এটুকু সময়ের মধ্যে। নবীন দা বাংলায় বলিলেন-বান্দরের-বান্দরের গলায় মুক্তোর মালা ! কলেজের বেশ ভাল মেয়ে বলে শুনেছি।--র্যাডিশটার মধ্যে কি পেলে খুঁজে !! দু দিন মূলো কি জানি কেন আমাদের বাংলোতে আসিল না। তৃতীয় দিন সকালবেলা একখানা মোটরগাড়ী বাসার সামনে দাড়াইতেই । আমি আগাইয়া গেলাম-নবীনদ তখন বাসায় নাই । মোটর হইতে নামিলেন ডাঃ সোরাবাজি । আমাকে ডাকিয়া বলিলেন-শুকরামকি এখানে এসেছিল ? একটা জরুরী কথা আছে । আপনারা ওকে কতদিন জানেন ? —খুব বেশি দিন নয়। কেন বলুন তো ? -ও আমার কাছে কিছু বলে না। কিন্তু আমার মেয়ের কাছে বিবাহের প্রস্তাব করেছে। আমি ওকে বাড়ী ঢুকতে দেব না। ওকে আপনার বরণ করে দেবেন । মূলোর হইয়া ওকালতি করিবার ইচ্ছা হইল। বলিলাম-ওকে কি উপযুক্ত পাত্র বলে বিবেচনা করেন না ? ডাক্তার সোরাবাজি রাগের সঙ্গে বলিলেন, ও একটা লোফারওর সঙ্গে আমাদের মেয়ের বিয়ে হবে কেন ? ওরা হল ডোগরা-আমি ԳԾ)