পাতা:সরোজিনী নাটক.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ সরোজিনী নাটক । রণধীর । তাই তো ! লক্ষ্মণ। তুমি যে শুধু ভৎসনা ক’চ্চ তা নয়—দেবী চতুভূজাও ভৎসনা-ছলে পুনৰ্ব্বার দর্শন দিলেন–রণধীর । বল এখন কি করতে হ'বে—কি ছল ক’রে এখন সরোজিনীকে চিতোর হতে আনাই ? বল, আমি সকলেতেই প্রস্তুত আছি। রণধীর । মহারাজ ! এক কাজ করুন—রাজমহিষীকে এই ভাবে এক খানি পত্র লিখুন, যে “যুদ্ধযাত্রার পূৰ্ব্বে কুমার বিজয়সিংহ সরোজিনীকে বিবাহ কত্তে ইচ্ছুক হয়েছেন—অতএব তুমি পত্রপাঠমাত্র তাকে সঙ্গে ক’রে এখানে নিয়ে আসবে।” লক্ষ্মণ । এখনি শিবিরে গিয়ে ঐরূপ একখানি পত্র লিখে, আমার বিশ্বস্ত অনুচর সুরদাসের হাত দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্চি। আমার অদৃষ্টে ষা হ’বার ভাই হবে । (স্বগত) কে সরোজিনী, আমি তা জানি না। এ সংসারে সকলি মায়াময়, সকলি ভ্রান্তি, সকলি স্বপ্ন। হে মহাকালরূপিণি প্রলয়ঙ্করি মাতঃ চতুভূজে | তোমার সর্বসংহারকার্য্যে সহায়তা কত্তে এখনি আমি চল্লেম। যাকৃ,—স্থষ্টি লোপ হয়ে যাক, পৃথিবী রসাতলে যাক, মহাপ্রলয়ে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড উৎসন্ন হয়ে যা’কৃ। আমার তাতে কি ক্ষতি ?—আমার সঙ্গে কারও কোন সম্বন্ধ নাই । (লক্ষণসিংহের বেগে প্রস্থান ; পরে রণধীরসিংহের প্রস্থান । )