সরোজ-বালা | వీరిని “সে কথা কি আর আপনাকে শিখাইতে হইবে। আমি হাট করিয়া শীঘ্রই অভয়বাবুর নিকট যাইব । আপনি অগ্রসর ইউন ৷” এই বলিয়া সদানন হাটে গমন করিল। যথা সময়ে সদানন্দ অভয়াবুর বাটা উপস্থিত হইল । অভয়বাবু তাহারই অপেক্ষা করিতেছিলেন। সদানন্দ উপস্থিত হইলে, তাহাকে প্রথম সীতানাথের কথা জিজ্ঞাসা করিলেন । এতদিন অভয়বাবু তাহার ভরণপোষণের সমস্ত ব্যয় ভূষণ করিতেছিলেন । সুতরাং সদানন্দ এখন আর তাহার নিকট কোন কথা গোপন না করিয়া, যাহা জানিত সমস্তই যথাযথ বর্ণনা করিল। অভয়বাবু সেই সকল কথা শ্রবণ করিয়৷ সীতানাথের উপর অত্যন্ত রাগাম্বিত হইলেন। পরে সীতানাথকে তাহার নিকট আনিতে বলিয়া, তাহাকে মোকদ্দমার কথা বলিলেন এবং ক্ষণেক পরে তাহাকে বিদায় দিলেন । এদিকে মনোরমা যখন দেখিল যে, সীতানাথ ভিন চারি দিন অতীত হইলেও বাটতে প্রত্যাগমন করিল না, তখন তাহার বিশেষ ভাবনা হইতে লাগিল। বাটতে এক বৃদ্ধ দাসী ভিন্ন আর কেহই ছিল না। মনোরম তাহাকেই দুই একবার সতানাথের অন্বেষণ করিতে বলেন। কিন্তু সীতানাথ তথায় ছিল না, সুতরাং বৃদ্ধ অনেক পরিশ্রম করিয়াও সীতানাথের কোন সংবাদ না পাইয়া, মনোরমার নিকট প্রত্যাগমন করিল। দেশে মনোরমার সহিত আর কাহারও বিশেষ আলাপ হয় নষ্ট । গ্রামের প্রায় সকলেই দরিদ্র । সীতানাথ যেরূপ ধনবনের ন্যায় সংসার পাড়িয়াছিল, তাহাতে র্তাহার সহিত \ כ \ f
